প্রতিবেদন : ২৪ ঘণ্টা আগেই তাঁর দল ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে। কলকাতা ডার্বিতে এখনও তিনি অপরাজিত। আন্তোনিও লোপেজ হাবাস কিন্তু উৎসবে গা ভাসাতে রাজি নন। বরং মোহনবাগান কোচের যাবতীয় ফোকাস এখন পরবর্তী লড়াইয়ে।
আরও পড়ুন-গম্ভীর ম্যাজিকের অপেক্ষায় ভেঙ্কটেশ, আইপিএলের বাকি ১১ দিন
বুধবার অ্যাওয়ে ম্যাচে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স। বড় ম্যাচের ক্লান্তি কাটাতে সোমবার ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন হাবাস। মঙ্গলবার সকালে অনুশীলন করে, বিকেলের বিমানে কেরল উড়ে যাবেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, মনবীর সিংরা। ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে আইএসএলের এক নম্বরে রয়েছে মোহনবাগান। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে টানা দ্বিতীয়বার খেতাব জয়ের হাতছানি।
হাবাস অবশ্য ধাপে ধাপে এগোতে চাইছেন। তিনি বলছেন, ‘‘ডার্বি জিতেছি ভাল কথা। তবে সেটা অতীত। এখন আমাদের পুরো ফোকাস কেরালা ম্যাচে। এখন শুধু ওদের নিয়েই ভাবতে চাই। হাতে একেবারে সময় নেই। মাত্র একদিন প্র্যাকটিস করেই অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। এত কম সময়ে ফুটবলারদের ক্লান্তি কাটিয়ে সেরাটা বের করে আনা কঠিন কাজ।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। তাই ফাইনাল বা অন্য কোনও ম্যাচ নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবছি না। লক্ষ্য একটাই, কেরালা ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট ঘরে তোলা। তারপর বাকি ম্যাচ নিয়ে মাথা ঘামাব।’’
আরও পড়ুন-মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে শতাব্দী
কোচের সঙ্গে একমত ডার্বির নায়ক দিমিত্রিও। সবুজ-মেরুন জনতার নয়নের মণি অস্ট্রেলীয় তারকা বলছেন, ‘‘আমি প্রতি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সতীর্থদের সাহায্য ছাড়া ডার্বি জয় সম্ভব ছিল না। আমরা একটা দল হিসাবে খেলছি বলেই সাফল্য পাচ্ছি। এই ছন্দ শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। আপাতত লক্ষ্য কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ। ওই ম্যাচটা জিততে পারলে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছে যাব।’’
ডার্বিতে মোহনবাগানের প্রথম গোল যাঁর পা থেকে এসেছিল, সেই জেসন কামিন্স বলছেন, ‘‘সমর্থকদের খুশি করতে পেরে দারুণ লাগছে। খারাপ সময় কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছি। পরপর কয়েকটা ম্যাচে গোল করলাম। স্ট্রাইকার হিসাবে আমার কাজ গোল করে দলকে সাহায্য করা। সেটা পালন করার চেষ্টা করেছি। কেরালা ম্যাচেও গোল করে দলকে জেতাতে চাই।’’