হাতির উপদ্রব রুখতে খাদ্যভাণ্ডার

Must read

প্রতিবেদন : খাবারে টান। তাই সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতির (Elephant) দল। কখনও শস্য-গুদামে, কখনও রেশন দোকানে। আবার কখনও গৃহস্থের বাড়িতে হানা দিচ্ছে দাঁতালরা। ভেঙে ফেলছে বাড়ি। পিষে ফেলছে মানুষকে। ইতিমধ্যেই হাতির পদপিষ্টে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। রাজ্য সরকার অবশ্য মৃত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। কিন্তু স্থায়ী সমাধানের পথ খঁজতে হাতিদের (Elephant) খাদ্যভাণ্ডার তৈরি হবে রাজ্য জুড়ে। এই কাজ শুরু করেছে বনদফতর। দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং উত্তরের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় তৈরি হবে খাদ্যভাণ্ডার। দু’কিলোমিটার ব্যাসার্ধ্যের এই খাদ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। যা তারের ফেন্সিংয়ে লাগানো থাকবে। করা হবে জল খাওয়ার জায়গা। ওই খাদ্যভাণ্ডারে বিভিন্ন ধরনের সবজি, কলার কাঁদি সমেত কলার গাছ রাখা থাকবে। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Forest Minister Jyotipriya Mallick) শনিবার বলেন, ওই খাদ্যভাণ্ডারে সবজি, ফলের পাশাপাশি পচা চাল রাখা থাকবে। যার থেকে মদ তৈরি হয়। অর্থাৎ পচাই। যা হাতিরা খেতে ভালবাসে। তিনি বলেন, বাংলা লাগোয়া বিভিন্ন রাজ্যের থেকে হাতির দল ঢুকে পড়ছে। কারণ ওইসব জঙ্গলে খাবারের জোগান কম। ফলে তারা বাংলাকে বেছে নিচ্ছে খাবারের জন্য। আমরা চাই বন্যপ্রাণ রক্ষা করতে। তাই হাতির জন্য এই খাদ্যভাণ্ডার। দেশের মধ্যে যা প্রথম। যেভাবে প্রাণহানি ঘটছে হাতির জন্য সেসবও বন্ধ হবে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার ফেন্সিং ওয়াল তৈরি হচ্ছে। যাতে হাতিরা লোকালয়ে চট করে ঢুকে যেতে না পারে। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ঝড়গ্রাম জেলায় গভীর জঙ্গলে তিনটি খাদ্যভাণ্ডার হবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় হবে একটি করে। আর মেদিনীপুরে হবে একটি।

আরও পড়ুন:মেরামতির পরেও শিয়ালদহে দুর্ভোগ

Latest article