সংবাদদাতা, মঙ্গলকোট : পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাজ্যে প্রথম হল ‘উন্নয়নের খতিয়ান— পূর্ব বর্ধমান’ শীর্ষক কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে জেলার সাধারণ মানুষের নানা অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কর্তারা। মঙ্গলকোটের লালডাঙা ময়দানে কর্মসূচিতে ছিলেন দুই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও স্বপন দেবনাথ। ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায়, দুই সাংসদ অসিত মাল ও সুনীল মণ্ডল, জেলার বিধায়করা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের
স্বপন জানান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য যে সব জনকল্যাণমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে তা আজ অন্যান্য রাজ্য এমনকি বিজেপিশাসিত রাজ্যও অনুকরণ করছে। সেই ধারায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের এই উদ্যোগ সত্যিই সাধুবাদযোগ্য।
চন্দ্রনাথ জানান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, কুৎসা ও অপপ্রচার সত্ত্বেও রাজ্যের উন্নয়নের গতিকে আটকাতে পারেনি বিজেপি। তার একটাই কারণ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলা এগিয়ে ছিল, এগিয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন-মৃত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা, কৃষি দফতরের বরাদ্দ আশি কোটি টাকা
শ্যামাপ্রসন্ন জানান, গত ৬ মাসে জেলা পরিষদ নিজস্ব তহবিল বৃদ্ধি করেছে। তা থেকেই এদিন ৫০ জন করে যক্ষ্মা, ক্যান্সার ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম ১০০ জনকে ট্রাইসাইকেল দেওয়া হয় এবং দুঃস্থ মেধাবী ৫০ জন ছাত্রকেও ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ হাসপাতালে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকায় ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের এই কাজ রাজ্যে দৃষ্টান্ত।