ফের নিম্নমুখী বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার, নামল ৬০০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

Must read

প্রতিবেদন : ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যেই অশনিসংকেত। গত এক সপ্তাহে দেশে বিদেশি মুদ্রার (foreign currency) ভাণ্ডার অনেকটাই খালি হয়েছে। ১৯ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে ৬.০৫২ বিলিয়ন ডলার কমে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার দাঁড়িয়েছে ৫৯৩. ৪৭৭ বিলিয়ন ডলারে। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কমলেও উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তবে ওই দাবি মানতে রাজি নন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করছেন, বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে ঘাটতি দেখা দিলে আমদানি বাণিজ্যে সমস্যা হতে পারে।

ডলারের তুলনায় টাকার দামে ফের পতন হতে পারে। মে মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রার (foreign currency) ভাণ্ডার বেড়েছিল। ১২ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে মুদ্রা ভাণ্ডার বেড়েছিল ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। যার ফলে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬০০ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহ পরে আচমকাই কমেছে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার। বিদেশি মুদ্রার পাশাপাশি দেশের সোনার মজুতও হ্রাস পেয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় সর্বকালীন সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছিল। ভাঁড়ারে জমেছিল ৬৪৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, ডলারের তুলনায় টাকার দামের পতনের মতো কারণে ২০২২ সালের শুরু থেকেই বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার কমতে থাকে।

ডলারের বিপরীতে টাকার পতন ঠেকাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সাহায্যও নিতে বাধ্য হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার ফলে কমতে শুরু করেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার।

আরও পড়ুন- বাড়িতে বাইবেল মেলায় ২ বছরের শিশুরও যাবজ্জীবন

Latest article