নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : নতুন ফৌজদারি আইন অধ্যয়ন এবং বোঝার জন্য ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের পরই আইনে পরিণত হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম।
আরও পড়ুন-মোদি-সেলফি বুথের খরচ ফাঁস হতেই রেলের কড়া নিয়ম লাগু
নতুন আইনের খুঁটিনাটি বুঝতে বিশেষ পুলিশ কমিশনার ছায়া শর্মার নেতৃত্বে ১৪ জনের প্যানেলের নেতৃত্বে থাকবেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জয় তিরকি, অতিরিক্ত ডিসিপি উমা শঙ্কর, সহকারী পুলিশ কমিশনার হরি সিং, ইন্সপেক্টর রাজীব কুমার, রাজীব ভরদ্বাজ, নরেশ মালিক, দেবেন্দর সিং, অরুণ কুমার, সুরেশ কুমার, অনিল বেরওয়াল এবং সঞ্জীব কুমার এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর সোমবীর ও রজনীকান্ত। নতুন আইন অনুযায়ী এখন থেকে কীভাবে তদন্ত হবে এবং তা কার্যকর হবে তা বোঝার জন্য কমিটিকে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ব্যবহারিক বোঝাপড়া এবং অধ্যয়নের জন্য ট্রেনিং নিতে হবে। তারপর তাঁরা পুরো বিষয়টি সংক্ষেপে বোঝাবেন বাহিনীর অন্য সদস্যদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই বিলগুলি কার্যকর হওয়ার তারিখ জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-৯ জুন বিশ্বকাপে ভারত-পাক দ্বৈরথ
তবে মাত্র দু’সপ্তাহ সময়ের মধ্যে নতুন আইন বোঝা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের মধ্যেই। বিরোধীদের তরফে আগেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল, একই জিনিসকে অযথা জটিল করে উপস্থাপন করা হয়েছে নতুন বিলের মাধ্যমে। পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে, এই বিল সম্পূর্ণ বুঝে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের সময় বিবিধ সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে।