দোহা, ৪ ডিসেম্বর : ফ্রান্স আর পোল্যান্ড (France vs Poland) নয়, রবিবারের ম্যাচটা ছিল এমবাপে বনাম লেয়নডস্কির। তাতে জোড়া গোল করে টেক্কা দিয়ে গেলেন প্রথমজন। বোঝা গেল এই বিশ্বকাপ হয়তো এমবাপের। লেয়নডস্কি? অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে পেনাল্টি থেকে একটা গোল করলেন। এটা তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। শেষ গোলও। মাঠ ছাড়ার আগে জড়িয়ে ধরলেন এমবাপেকে। হয়তো বললেন, গোলের ব্যাটন তোমাকে দিয়ে গেলাম ভাই। বলা হয়নি, লেয়নডস্কি এখন খেলেন আমেরিকার লিগে।
ফ্রান্স (France vs Poland) জিতল ৩-১ গোলে। তারা উঠে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। এদিন প্রথমার্ধে তাও লড়াই হল। বল দখলের হিসাবটা ছিল ৫৬-৪৪। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পোল্যান্ড দাঁড়াতেই পারেনি। অলিভার জিরুর গোলে ১-০ এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটো গোল চাপিয়ে দিলেন পিএসজি তারকা এমবাপে। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ৩-১ করলেন লেয়নডস্কি। তাঁর ও পোল্যান্ডের জন্য যেটা ছিল সান্ত্বনা পুরস্কার।
বিরতির পর মাঠে নামার মুহূর্তে রবার্ট লেয়নডস্কিকে দেখা গেল গোটা দলকে পেপ টক দিচ্ছেন। এটা তাঁকে মানায়। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এত গোল করেছেন যে লোকে এখনও পোল্যান্ড বলে চোখ বুজে তাঁকে দেখে।
৩৭ মিনিটে গোলের সম্ভাবনাও তৈরি করে ফেলেছিল পোল্যান্ড। বক্সের মধ্যে পরপর তিনবার লেয়নডস্কিদের শট আটকেছেন ফ্রান্সের গোলকিপার লরিস। এই সময় গোল হয় গেলে এগিয়ে যেত পোল্যান্ড। কিন্তু হল উল্টো। বিরতির ঠিক আগে গোল করে ফ্রান্সকেই এগিয়ে দিলেন বহু যুদ্ধের নায়ক বছর ছত্রিশের জিরু।
সেটা ৪৪ মিনিটের ঘটনা। জিরুকে বক্সের মধ্যে থ্রু বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এমবাপে। বাঁ পায়ের গড়ানো শটে পোলিশ গোলকিপার সেজনির পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এই গোলে ফ্রান্সের সর্বকালের সেরা গোল স্কোরার হয়ে গেলেন জিরু। ১১৭ ম্যাচে ৫২ গোল। জিরু টপকে যান থিয়েরি অরিকে।
আরও পড়ুন-সেনেগালকে উড়িয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড
০-১ পিছিয়ে থাকা পোল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের তীব্রতা বাড়াবে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু পরপর আক্রমণ শানিয়েছে ফ্রান্সই। ৪৮ মিনিটে গ্রিজম্যানের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান সেজনি। কিছুক্ষণ পর এমবাপের শট পোল্যান্ড ডিফেন্ডারের পেয়ে লেগে কর্নার হয়ে যায়। এরপর জিরু আরও একবার পোলিশ গোলে বল ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেজনিকে ফাউল করার জন্য রেফারি আগেই বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছিলেন।
৭৩ মিনিটে ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোল এমবাপের। বক্সের বাইরে থেকে উঁচু শটে ২-০ করে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার। ৯০ মিনিটে ফের সেই একই কায়দায় বক্সের বাইরে থেকে আবার গোল করলেন তিনি। ফ্রান্স এগিয়ে যায় ৩-০ তে। পরে লেয়নডস্কির গোলে ৩-১।
এই বিশ্বকাপে ৫ গোল হয়ে গেল এমবাপের। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে ৯ গোল। এমবাপে এতে টপকে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলেকে।