এক শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ সময় আগে এদেশের বুকে ইউনিয়ন জ্যাককে সরিয়ে গর্বিত তেরঙ্গা পাখা মেলেছিল। মেলেছিল বহু শহিদের যুদ্ধ ও রক্তের বিনিময়ে। তবে স্বাধীন জীবনের সূচনাটা তার খুব মসৃণ হয়নি। দেশ ভেঙে দু’টুকরো। সদ্যসমাপ্ত বিশ্বযুদ্ধে নিজেদের স্বার্থে তার সমস্ত প্রাণশক্তি শুষে খেয়েছে ঔপনিবেশিক শাসক। রক্তাক্ত দাঙ্গা, প্রতিবেশীর আক্রমণ, খিদে, অশিক্ষা… এমন অনেক দুঃস্বপ্ন ছিল সেই সদ্য স্বাধীন ভারতবর্ষের সঙ্গী। তার বিপুল জনসাধারণের মুখে দু’মুঠো খাবার জোটাবার জন্যও বিদেশের কাছে হাত পাততে হত তখন।
আরও পড়ুন-কিছু উপলব্ধি কিছু বেদনা
তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশেই তখন একটা দৃশ্য খুব সাধারণভাবে দেখা যেত— এবং এখনও যায়— যেখানে যত অভাব, অশিক্ষা, সেখানে সরকারের স্থিতিশীলতা তত কম, গণতান্ত্রিক শক্তির জোরও ততই কম। দুর্বল গণতান্ত্রিক সরকার আর স্বৈরাচারী সামরিক শাসন সেখানে দেশ চালাবার রাশ নিয়ে চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে ব্যস্ত থাকে। আজকের রাষ্ট্রনায়ক আগামিকাল ফাঁসির আসামি হন অথবা কারাদণ্ড বা দেশান্তরের সাজা পান। বিদেশি শক্তিদের উন্মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখা তাদের প্রায় একমাত্র ভবিতব্যে বদলে যায়।
আর এইখানেই স্বাধীন ভারতের নিজস্বতা। চূড়ান্ত দারিদ্র, খিদে আর অনিশ্চয়তার মধ্যেও নিজের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক চরিত্রকে সে দৃঢ়ভাবে ধরে থেকেছে গত পঁচাত্তর বছর ধরে। এর মূল কারিগর ভারতীয় সংবিধান। স্বাধীন ভারতের সংবিধান তার নাগরিকদের জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ নির্বিশেষে যে শক্তি ও স্বাধীনতা দেয় তা পৃথিবীর বহু উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশেই দুর্লভ। ৭৫ বছর ধরে এদেশে সামরিক বাহিনী রাষ্ট্র পরিচালক হয়ে ওঠবার বদলে, গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত সরকারের আদেশ মেনেই নিজের আসল কর্তব্যগুলোকে নিষ্ঠাসহকারে পালন করে চলেছে। এখনও এদেশের বুকে কোনও বৃহৎ বিশ্বশক্তির সামরিক ছাউনি গড়ে উঠতে দিইনি আমরা। এখানে সাধারণতম মানুষের পাশাপাশি, সর্বোচ্চ শাসকেরও বিচার হয় একই মাপকাঠিতে। অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তিও হয়। কিন্তু সে-বিচারের ও শাস্তিদানের ভার নেয় এ দেশের সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন ও সুপ্রতিষ্ঠিত আইনব্যবস্থা। উন্মত্ত জনসাধারণ বা সামরিক কর্তারা নন।
আরও পড়ুন-বেলুড় বালিকা বিদ্যালয় পেল নতুন রূপ
উন্নয়নের দুই উল্লেখযোগ্য মাপকাঠি হল জাতীয় উৎপাদন আর রাস্তার দৈর্ঘ্য। গত ৭৫ বছরে এদেশের জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) তিন লক্ষ কোটি টাকা থেকে একশো পঁয়ত্রিশ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। উন্নয়নের আরেক চিহ্ন রাস্তা, ৪ লক্ষ কিলোমিটার থেকে ৬৪ লক্ষ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।
মানুষের মতো করে বেঁচে থাকবার তিন প্রাথমিক শর্ত হল খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। দেখা যাক সেই এলাকায় কতটা পথ পেরিয়েছি আমরা গত ৭৫ বছরে।
এই সময়টায় এদেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ৩৬ কোটি থেকে ১৪০ কোটিতে। একদিকে এই বিপুল বৃদ্ধি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের অসাফল্যের দিকে আঙুল তোলে। কিন্তু একই সঙ্গে এই বৃদ্ধি দেখিয়ে দেয়, উন্নতি হয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থায়, দেশবাসীর গড় আয়ুতে, কমেছে শিশুমৃত্যুর হার। তবে ভাল বা মন্দ যাই হোক না কেন, এই ক্রমবর্ধমান এই বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ধরে রাখাটা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। স্বাধীন ভারত সে চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে এবং সফল হয়েছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন ১৯৪৭-এর বার্ষিক ৫ কোটি টন থেকে ছ’ গুণ বেড়ে ২০২১-এ এসে দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি টন-এ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থেকে খাদ্যশস্যের উৎপাদনের হারকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারা ও সে বৃদ্ধিকে ধরে রাখা যেকোনও স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষেই একটা চ্যালেঞ্জ। স্বাধীন ভারত তা করে দেখিয়েছে। পাশাপাশি এই ৭৫ বছরে ভারতবাসীর গড় আয়ু ৩৫ থেকে বেড়ে ৭০ এর কোঠা ছুঁয়েছে। সাক্ষরতার হার ব্রিটিশ ভারতের কুড়ি শতাংশেরও কম থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে চুয়াত্তর শতাংশে।
আরও পড়ুন-সুবর্ণরৈখিক
প্রাথমিক শর্তগুলোর সমীক্ষার পর আর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকে চোখ ফেলা যাক। সে হল স্বাধীন, সার্বভৌম একটা রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এদেশের প্রভাব। একটা সময় মস্তিষ্ক রফতানি বা ব্রেইন ড্রেইন বলে একটা কথা বহুল প্রচলিত ছিল। সে তত্ত্বের মূলকথা ছিল, উন্নত ধী-শক্তির মালিক ভারতীয়রা এদেশে প্রাথমিক শিক্ষাটা নিয়ে চলে যায় বিদেশে। সেখানে গিয়ে তারা তাদের জ্ঞানবুদ্ধিকে সেদেশের উন্নতির কাজে লাগায় দেশকে বঞ্চিত করে। আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর বাদে এসে এর একটা বিপরীত ছবিকেও তুলে ধরছেন কেউ কেউ। গত তিন দশকে যে বিশ্বায়ন ঘটেছে প্রযুক্তি আর অর্থনীতির ক্ষেত্রে তাতে গোটা পৃথিবীর জীবনযাত্রা ক্রমাগত একীভবনের দিকে এগিয়ে চলেছে। কোনও একটা অর্থনীতিতে বা একটা মহাদেশে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন সরাসরি অন্য জায়গাদের পরিবর্তনদের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে এবং পরস্পরকে প্রভাবিত করছে। ক্রমশ ত্বরান্বিত হয়ে চলা এই একীভবনের প্রেক্ষিতে বিগত দশকগুলোর মস্তিষ্ক রফতানির একটা অন্য ফল ফলতে শুরু করে দিয়েছে। মেধাবী মানুষের যে বিরাট দলকে স্বাধীন ভারত একসময় দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিল, সেই প্রবাসী ভারতীয়রাই এখন হয়ে উঠছেন বিশ্বজোড়া ক্রমবর্ধমান ভারতীয় প্রভাববৃত্তের নিশানবাহক। গুগল থেকে হোয়াইট হাউস কিংবা ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট সর্বত্রই, সর্বস্তরেই অজস্র ভারতীয় হয় চালকের আসনে বসেছেন, অথবা বসবার দৌড়ে এগিয়ে চলেছেন। সুন্দর পিচাই, সত্য নাদেলা, কমলা হ্যারিস, ঋষি সুনক… এঁরা সে হিমশৈলের চূড়াটুকু মাত্র। গভীরে গিয়ে দেখলে এই প্রভাববৃত্ত আরও বহুদূর বিস্তৃত এবং ক্রমশই তা আরও বিস্তার পেয়ে চলেছে। ইতিহাস ও বর্তমান আমাদের দেখায়, শক্তিমান দেশরা দুর্বলতর দেশদের ওপর প্রভাব ছড়াবার জন্য সেনা, গুপ্তচর ও আর্থিক ঋণ এই তিনটে অস্ত্রে আগ্রাসন চালায়। এর ফর্মুলাগুলো বহুল পরিচিত। স্বাধীন ভারত এই প্রাগৈতিহাসিক কৌশলগুলোকে প্রয়োগ করেনি। এই কাজে সে সাফল্যের সঙ্গে ক্রমাগত ব্যবহার করে চলেছে তার মানবসম্পদকে।
আরও পড়ুন-সীমান্তে শক্তি বাড়াতে অত্যাধুনিক রুশ বোমারু বিমান কিনছে ভারত
প্রশ্ন আসবে, কী করে তা সম্ভব করা গেল? ৭৫ বছর ধরে হাজারো সমস্যায় দীর্ণ একটা বিশাল দেশ, তার ধর্ম, সমাজ, রীতিনীতির হাজারো বৈপরিত্য সত্ত্বেও নিজের ঐক্যকে ধরে রাখল, বিপুল জনসংখ্যাবৃদ্ধি সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ম্ভর হয়ে উঠল, শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে গেল এবং ধীরে ধীরে একান্ত নিজস্ব স্ট্র্যাটেজিতে বিশ্বজোড়া ভারতীয় মানবসম্পদকে ছড়িয়ে দিয়ে নিজের সুনিশ্চিত প্রভাববৃত্তকে গড়ে তোলবার কাজটা শুরু করে দিল, এটা সম্ভব করল কারা?
কাজটা সম্ভব হয়েছে এদেশের সাধারণ মানুষের জন্য। গণতন্ত্রের এবং স্থিতিশীলতার সতর্ক প্রহরী হিসেবে কাজ করে চলেন এদেশের মানুষরা। গত পঁচাত্তর বছরের ইতিহাস দেখুন। দেখতে পাবেন, এদেশের মানুষ বারে বারে পরিবর্তনের ঢেউ বইয়ে দিয়েছে দেশের শাসনব্যবস্থায়, বইয়ে দিয়েছে কোনও গণবিদ্রোহ, সামরিক বিদ্রোহ, দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধ ছাড়াই, তিনটে অস্ত্র দিয়ে। সেগুলো হল, ব্যালট বাক্স, শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা আর নিজেদের প্রতিবাদের কণ্ঠ।
আরও পড়ুন-স্বাধীনতা-৭৫ আর জাতীয় পতাকা
নিজেদের ভোটে গড়ে তোলা সরকারের কোনও কাজকর্মকে দেশের স্বার্থের ও সুস্থ জীবনের পরিপন্থী বলে মনে করলে সমস্ত সরকারি ও পার্টি মেশিনারির শক্তিকে তুচ্ছ করে বারংবার তাকে তারা তাড়িয়ে ছেড়েছে গদিচ্যুত করে। পাশাপাশি আবার, যাকে সে উপযুক্ত মনে করেছে তাকে ক্ষমতায় রাখবার বিষয়েও সে দৃঢ়মত থেকেছে। সেক্ষেত্রে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর হাজারো প্রলোভন বা প্রোপাগান্ডাকে অবহেলায় তুচ্ছ করে, পণ্ডিত স্ট্র্যাটেজিস্টদের ভবিষ্যৎবাণীকে উপহাসের পাত্র বানিয়ে ছেড়েছে সে ব্যালট বাক্সে। আসলে দেশের পরিচালকদের কাছে একটা পরিষ্কার ম্যানডেট তুলে ধরেছে এবং ধরে চলেছে স্বাধীন ভারত- যে পথে এগোচ্ছে দেশ সেপথে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তোমায় ক্ষমতায় আনি। যতদিন তুমি, তোমার কমবেশি ত্রুটি সত্ত্বেও সে-কাজটা করে চলবে ততদিন ক্ষমতায় রাখব, আর যেদিন সে মিশনের পরিপন্থী বলে মনে করব তোমায়, সেদিন তোমার হাজার শক্তিকে তুচ্ছ করে অন্য কারও হাতে ক্ষমতা তুলে দেব।
আরও পড়ুন-ভারতের আপত্তি উড়িয়ে শ্রীলঙ্কায় আসছে চিনা নজরদারি জাহাজ
এবং তাদের সে-প্রচেষ্টায় নিয়ত পাশে থেকেছে এদেশের এক ধ্রুব স্টিলফ্রেম— তার বিচারব্যবস্থা। আইন প্রণেতা ও আইন প্রয়োগকারীদের প্রতিটি পদক্ষেপের ওপরে তীক্ষ্ণ নজর রাখে সুপ্রিম কোর্ট সহ এদেশের গোটা বিচার পরিকাঠামো। কখনও তা দেশের ঘোষিত নীতি ও আইনের পরিপন্থী হলে তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবার জন্য যে দ্রুত, সময়োপযোগী পদক্ষেপগুলো তাঁরা নেন তার তুলনা খুব বেশি দেশে পাওয়া যায় না। ষাটের দশকে সুপ্রিম কোর্টে বিখ্যাত গোলকনাথ কেস-এ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষাকে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেওয়া থেকে শুরু করে একেবারে নিকট অতীতে কেরলের ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট বনাম ভারত সরকার কেস-এ জীবনের অধিকারকে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করা অবধি এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে আমাদের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে।
ব্যালট বাক্স ও বিচারব্যবস্থা এই দুয়ের পাশাপাশি নিজেদের প্রতিবাদি কণ্ঠকে ব্যবহার করতেও দক্ষতায় ঘাটতি নেই আমাদের। এ-বিষয়ে এদেশকে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা মনীষীরাই। একসময়, যখন ব্যালট বা বিচারব্যবস্থা কোনওটাই আমাদের পাশে ছিল না, সেই পরাধীনতার যুগে কেবলমাত্র এই প্রতিবাদী কণ্ঠকে সম্বল করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা হয়েছেল। আজও সেই অস্ত্র, দেশকে সঠিক পথে ধরে রাখতে এ-দেশের মানুষের প্রধান অস্ত্র। সে অস্ত্র এখানে এখনও সরকারকে বদলে দেবার শক্তি ধরে। এদেশের গত পঁচাত্তর বছরের ইতিহাসে বারংবার তার অজস্র প্রমাণ পেয়েছি আমরা। ইদানীং, বৈদ্যুতিন মিডিয়ার প্রসার সে কাজকে আরও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী করে তুলেছে।
আরও পড়ুন-নিম্নচাপে সুন্দরবনে শঙ্কা দুর্যোগের, সতর্ক প্রশাসন
স্বাধীনতার অর্থ কেবলমাত্র ঔপনিবেশিক শক্তির হাত থেকে মুক্তি নয়। তার অর্থ আরও ব্যাপক। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রোজগারের অধিকার, নিজস্ব ধর্মপালনের স্বাধীনতা, অন্যের অযথা কষ্টের কারণ না হয়ে নিজস্ব জীবনযাপনের স্বাধীনতা, মানুষ হিসেবে সম-অধিকার, এই সবই স্বাধীনতার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে। এদের কোনওটাই ধ্রুব নয়। চিরস্থায়ীও নয়। বারে বারেই সারা পৃথিবীতেই এদের ওপর ক্রমাগত আঘাত আসে। আঘাত করে কখনও সরকার, কখনও বা বাজার, কখনও দুর্নীতি আবার কখনওবা বহিরাগত কোনও আগ্রাসী সংস্কৃতি। স্বাধীনতার ৭৫-তম বছরের ভারতও সে আঘাতের হাত থেকে সুরক্ষিত নয়। প্রতিদিনের মিডিয়াতে তার হাজারো রূপ আমরা দেখি, দেখি দেশের বিভিন্ন কোণে। আর তাই, সবশেষে একটাই কথা, স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে এই দেশ হয়তো এক আকাশবিহারী মহাযান হয়ে উঠেছে, কিন্তু তার সেই ঊর্ধ্বগামী গতিকে ধরে রাখতে হলে আমাদের প্রত্যেকের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ ঝড়ঝাপটা, যান্ত্রিক ত্রুটি ক্রমাগতই আসতে থাকবে, চেষ্টা করতে থাকবে তাকে মাটিতে টেনে নামাবার। সদাসতর্ক জনতাই পারে সে বিপদদের রুখে দিয়ে এদেশের আকাশচারণকে ধরে রাখতে। আমরা সতর্ক থাকব। আমাদের গর্বের স্বাধীনতাকে রক্ষা করে চলব অতন্দ্র পাহারায়, স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীতে এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।