প্রতিবেদন : বৃষ্টি নিয়ে প্রাচীন বাংলার অনেক প্রবাদ মুখে মুখে ফেরে। সেই সব প্রবাদের পিছনে একটাই বার্তা বা বিশ্বাস, বৃষ্টির লক্ষণ দেখা দিলে ব্যাঙ ডাকে। তাই তীব্র রোদে বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে দেন গ্রামবাংলার মানুষ। এই বিশ্বাস থেকেই শুক্রবার হাবড়ার টুনিঘাটাতেও ঘটা করে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হল। হাবড়ার টুনিঘাটায় দুঃস্থ পড়ুয়াদের কথা ভেবে এক টাকার একটি পাঠশালা চালান স্থানীয় সঞ্জীব কাঞ্জিলাল। প্রচণ্ড গরমে সেই পাঠশালায় পড়ুয়াদের হাজিরা অনেক কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-সঞ্জু-ধ্রুবর শাসনে রাজস্থানের রাত
গোটা গ্রামের মাঠঘাট খটখট করছে। ফলে বৃষ্টির প্রার্থনা জানিয়ে ব্যাঙের বিয়ের এই আয়োজন করেন সঞ্জীব ও গ্রামবাসীরা। সানাই বাজিয়ে কলাগাছ পোঁতা হয় সকালে। দুটি ব্যাঙের বসার জন্য সাজানো হয় পিঁড়ি। সিঁদুর দান করেন কয়েকজন মহিলা। এরপরই রীতিমাফিক শঙ্খ ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়ল বরকনে অর্থাৎ দুটি ব্যাঙ। বিয়ের কাজ সম্পন্ন হতেই শুরু হয়ে যায় প্রীতিভোজের আসর। শতাধিক মানুষ দুপুরবেলা তারিয়ে তারিয়ে বিরিয়ানি দিয়ে সারলেন মধ্যাহ্নভোজ। অনুষ্ঠান শেষে ব্যাঙ দুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় স্থানীয় জলাশয়ে।