দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে স্বাধীন দেশের রাজনীতি, বাংলা ও বাঙালির ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অথচ, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব বাংলার কাছে আজও অধরা থেকে গিয়েছে। পরিবেশ তৈরি হয়েছে, কিন্তু যথাযথ উপসংহারের আগেই রাজনৈতিক দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলনে বাক্যটি জটিল হয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি।
একসময় রাষ্ট্রপতি পদেও পৌঁছেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব আজও অধরা। আজও ইতিহাসের এই পাতাটিতে বাংলার ছাপ পড়েনি। বাংলা অপেক্ষায়।
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে, আমি হৃদয় উজাড় করা শ্রদ্ধা নিয়ে জবাব দেব নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। কিন্তু দুর্ভাগ্য, প্রচলিত ইতিহাসে এর স্বীকৃতি নেই। পরাধীন ভারতে যখন স্বাধীনতার লড়াই, যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে ঢুকে আসছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, যখন ভারতভূখণ্ডে ঢুকেছেন তাঁরা, যখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ব্রিটিশ সেনা, তখন, ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার ঘোষণা করেন নেতাজি। প্রধানমন্ত্রী তিনি নিজে। যুদ্ধ ও বিদেশ দফতরও তাঁর হাতে। সেই ঘটনাক্রমের বিস্তারিত আলোচনায় আজ এখানে ঢুকছি না। কিন্তু বাস্তব হল আন্তর্জাতিক দুনিয়ার আর্কাইভ, লাইব্রেরিও মানবে ভারতের প্রথম ভারতীয় সরকার হল আজাদ হিন্দ সরকার। প্রধানমন্ত্রী সুভাষবাবু। তবে স্বাধীন ভারতের প্রচলিত ইতিহাসে যথাসম্ভব উপেক্ষিত এই পর্ব। পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তরে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ছাত্রছাত্রীরা অন্য নাম লিখতে বাধ্য হয়। আমাদের দেশের ইতিহাস পাঠ্যের ধাঁচাটাই অনেক কিছু ভুলিয়ে দেওয়ার, আর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার। গত কয়েক দশকে বাংলা থেকে একাধিক বড় নাম দিল্লির রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলেছেন। সফল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন অনেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রিত্বের নামের জল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর্যায়ে যেতে পেরেছেন মাত্র দু’তিনজন।
তার মধ্যে একজন জ্যোতি বসু। সিপিআইএমের নেতা, বাংলার প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সাল ১৯৯৬। তখন কংগ্রেসকে সরাতে বিজেপির সঙ্গে একমঞ্চে যাওয়ার ১৯৮৭/৮৮ সালের রাজনীতি থেকে সরে এসেছে সিপিএম। কংগ্রেসের পিভি নরসিংহ রাওয়ের সরকার হেরে গিয়েছে। তেরো দিনের বাজপেয়ী সরকার মসনদে। কংগ্রেস বলেছে তারা তৃতীয় মোর্চার সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করবে। তৃতীয় মোর্চার সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রী করতে চাইলেন জ্যোতি বসুকে। কংগ্রেস রাজি। সায় দিল না সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। মোর্চার নেতারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করলেন সিপিএমকে। পরদিনই সকালে আবার বৈঠকে বসল কেন্দ্রীয় কমিটি। সিদ্ধান্ত একই। পার্টি প্রধানমন্ত্রীর পদ নেবে না। প্রকাশ কারাতদের যুক্তি ছিল, যে সরকারে পার্টি নিজের নীতিতে চলতে পারবে না, অন্যদের চাপের সঙ্গে আপস করতে হবে, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলে পরে ক্ষতি। আর স্বয়ং জ্যোতি বসু-সহ বাকিদের বক্তব্য ছিল, সারা দেশে পার্টির গুরুত্ব ও প্রসার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রিত্ব নেওয়া উচিত। যাই হোক, শেষে প্রকাশ কারাতদের কাছে হেরে যান জ্যোতি বসু, হরকিষণ সিং সুরজিৎরা। প্রধানমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হয় বাংলার। পরে খোদ জ্যোতি বসু একে বলেছিলেন, পার্টির ঐতিহাসিক ভুল। উল্লেখ্য, সেবার সিপিএম জ্যোতিবাবুকে প্রধানমন্ত্রী না হতে দিলেও সিপিআই মন্ত্রিসভায় যায় এবং ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন।
আরও পড়ুন : দুর্গা মণ্ডপেও লকডাউন
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে বিষয়টা কিন্তু তিনবার ভেসে এসেছে। এবং তিনবারই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ চোরাস্রোতে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে দূরে থেকেছেন।
প্রথমবার, ১৯৮৪। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আচমকা প্রয়াত। রাজীব গান্ধী পশ্চিমবঙ্গ সফর শেষে ফিরছেন বিমানে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কথা চলছে নেতাদের মধ্যে। প্রণববাবু ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর আস্থাভাজন। তাঁর শত্রুও অনেক। এঁদের মধ্যেই দু’জন রাজীব গান্ধীকে বলেন তাঁরা রাজীবকে প্রধানমন্ত্রী চান। কিন্তু প্রণববাবু নিজেই হতে চাইছেন। পরে প্রণববাবু এই ঘটনার বাস্তব দিকটা বলেছিলেন বটে, কিন্তু ততক্ষণে বিষ ঢালার খেলায় যা যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। দূরত্ব বাড়তে শেষে তখন প্রণববাবুকে দলও ছাড়তে হয়। পরে আবার সম্পর্ক মেরামত হয়েছিল।
এরপর ২০০৪। বাজপেয়ী সরকার পড়ে গেছে। প্রথম ইউপিএ সরকার আসছে। সোনিয়া গান্ধী নাটকীয়ভাবে বলে দিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন না। কংগ্রেস বৈঠকে বসেছে। সর্বত্র রটে গিয়েছে স্বাভাবিক অঙ্কেই প্রণববাবু প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেদিন দক্ষ, যোগ্য রাজনীতিবিদ প্রণববাবুর বদলে সোনিয়া বেছে নিয়েছিলেন মনমোহন সিংকে। তিনি শিক্ষিত, যোগ্য ঠিকই। কিন্তু সম্ভবত নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে শান্ত, নীরব, মুখচোরা মনমোহনের অরাজনৈতিক সত্তাটাই গান্ধী পরিবারের বেশি দরকার ছিল। প্রণববাবুকে অঙ্গুলিহেলনে চালানো যেত না। মানসিক ধাক্কা এতটাই ছিল যে প্রণববাবু সেই রাতে ঘুমোতে পারেননি। ১৩ নম্বর তালকাটরা রোডের বাড়িতে পায়চারি করেছেন ভোর পর্যন্ত। প্রবল প্রতাপশালী অর্থমন্ত্রী প্রণববাবুর অধীনে কাজ করা মনমোহন সিং প্রণববাবুর উপরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
এই সমস্যাটাই অন্য চেহারায় ফিরে এল ২০১২ সালে। তখন লোকসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে। মনমোহন সিং বনাম গান্ধী পরিবার ঠান্ডা লড়াই তুঙ্গে। মনমোহনকে সরতেই হবে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীকে মুখ হিসেবে তুলে ধরার খেলা শুরু। কিন্তু কাঁটা প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি হেভিওয়েট, তিনি মুশকিল আসান, তিনি অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশ দফতরের মতো হেভিওয়েট দফতরের মন্ত্রী, তিনি অন্তত ৬০-৭০টি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি বা মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্য, তিনি দল চালান, এবং সরকারও। প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার তো তিনিই। রাহুল তাঁর সঙ্গে কোনও তুলনাই নন। অতঃপর মোক্ষম চালটি দিলেন সোনিয়া। ২০১২ সালেই প্রণববাবুকে রাষ্ট্রপতি করে দিল কংগ্রেস। নিশ্চয়ই বড় সম্মান। কিন্তু, তার আড়ালের উদ্দেশ্যবিধেয়তে থেকে গিয়েছে রাজনীতির সেই সাপলুডো খেলা। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব অধরাই থেকে গিয়েছে প্রণববাবুর।
তারপর আবার বাংলার ক্ষেত্রে দেশের সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার আশা তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে। কেন্দ্রে বিজেপি। সবরকম জনবিরোধী নীতিতে দেশ বিপর্যস্ত। মানুষ মুক্তি চান। কংগ্রেস ২০১৪, ২০১৯, এবং এখনও ব্যর্থ। তাদের দলের মধ্যেই সমস্যা। নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ বা শক্তি, কোনওটাই দিতে পারছে না কংগ্রেস। কেবল ইতিহাস ধুয়ে জল খাওয়ার বড় বড় কথা। এই পরিস্থিতিতে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এবার ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করা বিজেপির শীর্ষনেতাদের সম্মিলিত সবরকম চেষ্টা যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হয়েছে, তাতে গোটা দেশ জননেত্রীকেই বিকল্প মুখ হিসেবে দেখছেন। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাৎপর্যপূর্ণ দিকগুলি হল—
ক) মানুষের সঙ্গে থেকে দীর্ঘ আন্দোলনের অভিজ্ঞতা। বিরোধী নেত্রী ও রেলমন্ত্রী এবং তারপর মুখ্যমন্ত্রী, সব ভূমিকায় সফল।
খ) তিনি সাতবার সাংসদ, দু’বার রেলমন্ত্রী, দু’বার অন্যমন্ত্রী, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। নিজের রাজ্যে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ। জনপ্রিয়তা।
গ) আটের দশক থেকে সারা দেশে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, ব্যতিক্রমী ইমেজ, বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, আমলা থেকে শুরু করে তাবড় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয়।
ঘ) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দক্ষতা। সারা দেশে বাংলার মডেল চর্চিত। দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন স্কিমের সম্মান। টাইম ম্যাগাজিনেও বিশ্বের সেরা কুড়িজন রাজনীতিবিদের মধ্যে শুধু নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জননেত্রী হিসেবে আকর্ষণের কেন্দ্রে।
ঙ) বিজেপি তাঁকে ভয় পায় বলেই বাংলার ভোটে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি। তাঁকে আক্রমণ, কুৎসা। রাজনীতিতে না পেরে অন্য অস্ত্রের ব্যবহার। দেশের মানুষ তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে।
চ) জননেত্রীর মুখ এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে আজ আসছে ডাক। তৃণমূল আসুক, শূন্যতা পূরণ করুক। বাংলার মডেল চাই গোটা দেশে।
এখান থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চর্চায়। তিনি বলেননি। তাঁর যুক্তি, ‘পদ নয়। নীতি আগে। বিজেপিকে সরাতে আগে একজোট হতে হবে। নেতৃত্ব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’
এটা তাঁর কথা। কিন্তু এটাও ঘটনা, যে মুখের কাছে নতিস্বীকার করতে হয় বিজেপির শীর্ষনেতাদের, সেই মুখ সামনে থাকলে টক্করের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজটা অনেক এগিয়ে যায়।
বিজেপির কোনও কোনও দালাল প্রশ্ন করছেন জোট সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে।
জবাব: ওসব পুরনো যুক্তি। কীসের স্থায়িত্ব চান? পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম রোজ বাড়ার? দেশের সম্পদ বেচার? সমাজে ভেদাভেদের বিষ ছড়ানোর? স্থায়ী সরকারের গল্প দিয়ে শোষণের স্থায়িত্ব চাই না। আগে বিজেপি যাক। দেশ ঠিক চলবে।
প্রশ্ন তুলছে বিজেপি, এমনকী কংগ্রেসেরও কেউ কেউ- ক’জন সাংসদ?
জবাব: সংখ্যাতত্ত্বের গল্প এখন হাস্যকর। এটা জোটের যুগ। ম্যাজিক ফিগারে যোগফল দরকার। কিন্তু যোগফলটা ধরে রাখার জন্য একটা উপযুক্ত মুখ দরকার। বারোটা কামরা থাকতে পারে ট্রেনে। ইঞ্জিন একটা, যার ক্ষমতা আছে বাকি বারোটা আর একটি গার্ডের ঘরকে টেনে নিয়ে যাওয়ার।
ফলে, দেশব্যাপী এক প্রবল আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘিরে।
আমি এখানে একবারও লিখছি না যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী করতে হবে বলে তৃণমূল সক্রিয়।
কিন্তু আমি এবং আমরা সবাই এটা একশোবার বলব যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন অভিজ্ঞ, জনদরদি, দক্ষ, ইস্পাতকঠিন স্নায়ুর নেত্রী এবার লোকসভায় বিজেপিকে হারানোর যুদ্ধে নেতৃত্ব দিন, সেই আওয়াজটা কিন্তু প্রবলতর হচ্ছে।
কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আমরা কিছু ভাবছি না। বলছি না। কিন্তু বাস্তব বুঝুক কংগ্রেস। ২০১৪, ২০১৯-এর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। আর সময় নষ্ট করলে মানুষ ক্ষমা করবেন না। দিল্লিতে টক্করের পরিবেশ না তৈরি করলে লোকসভাতেও রাজ্যে রাজ্যে কিছু শতাংশ ভোট বাড়িয়ে নেয় বিজেপি। অভিজ্ঞতা তাই বলছে। এসব আর বরদাস্ত করা যাবে না। তাই বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই হবে। দেশের মানুষ মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন।
আর বঙ্গবাসী হিসেবে যদি কেউ প্রধানমন্ত্রিত্বের ইতিহাসের সাদা পাতাটিকে এবার এই নারীশক্তির আরাধনার সময় পূরণ করার স্বপ্ন দেখি, সেই অধিকার নিশ্চয়ই আমাদের আছে।
বাংলা স্বাধীনতা সংগ্রামে রক্ত দিয়েছে, নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশভাগের জ্বালায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। দেশ গড়ার কাজে বিশেষ অবদান রেখেছে। রাজনীতি থেকে শিক্ষা, সাহিত্য, খেলা, সংস্কৃতি সমাজসেবা, আরও প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশকে সেরা মেধা ও প্রতিভা উপহার দিয়েছে।
তাহলে বাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রী হবেন না কেন?