সংবাদদাতা, দিঘা ও কাকদ্বীপ: কৌশিকী অমাবস্যার কোটাল আর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টির জোড়া ফলায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি থেকে কাকদ্বীপ, সুন্দরবন– জল কূল ছাপিয়ে ঢুকে পড়ছে বসতিতে।
তবে প্রশাসন তৎপর। বহু জায়গায় লোকজনকে সরানো হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে। নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশের লোভে গভীর সমুদ্রে গিয়ে ঘোর বিপদের মুখে পড়েছিলেন ছয় মৎস্যজীবী। নুলিয়াদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। ‘সৃজা’ নামের ভুটভুটি দিঘা থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে মাঝসমুদ্রে বিকল হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন : নারীদের অবদান এবার থিমে
নোঙর করার চেষ্টা করলেও নোঙর ছিঁড়ে যায়। নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় দিঘার হাসপাতাল ঘাটের দিকে আসে। ছয় মৎস্যজীবী প্রাণ বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন। নুলিয়ারা দেখতে পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। নিম্নচাপের জেরে গার্ডওয়াল টপকে জল ঢুকেছে শহরের রাস্তায়। মেরিন ড্রাইভ-সহ সৈকত লাগোয়া বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন। সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। শুধু দিঘা নয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে একই পরিস্থিতি শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ উপকূলবর্তী এলাকায়। সমুদ্রতীরবর্তী শৌলা মৎস্যবন্দরের কাছেও বহু এলাকা জলমগ্ন। বিধায়ক মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’
আরও পড়ুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবেনা কংগ্রেস
বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকাও। মঙ্গলবার সকাল থেকে জোয়ারের জলে নামখানা, সাগর, কাকদ্বীপের বেশ কিছু এলাকা নোনাজলে প্লাবিত। মৌসুনি দ্বীপের সল্টঘেরি, পয়লাঘেরিতে বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে। বেশ কিছু পরিবারকে সরানো হয়েছে। কাকদ্বীপের তিলকচন্দ্রপুরে কালনাগিনী নদীর জলে প্লাবিত এলাকা। সাগরের মুড়িগঙ্গা ও ঘোড়ামারা দ্বীপেও জল ঢুকছে।