প্রতিবেদন : শ্রীলঙ্কার পুনরাবৃত্তি কি হতে চলেছে পাকিস্তানে? কিছু কিছু ইঙ্গিতে আগাম আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রবল আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাওয়ায় ডিজেল আমদানি করতে পারছিল না। ডিজেলের অভাবে বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল গণপরিবহণ। এবার সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল পাকিস্তানে।
আরও পড়ুন-মারিউপোল ছারখার, নজর এবার ডনবাসে, বুচার গণহত্যাকারী রুশ সেনাদের বিশেষ সম্মান পুতিনের!
জ্বালানির অভাবে ইসলামাবাদেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দেশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল সব কিছুরই দাম বেড়েছে। অথচ পাকিস্তানের হাতে এমন টাকা নেই যা দিয়ে তারা জ্বালানি কিনতে পারে। সূত্রের খবর, জ্বালানির অভাবে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ধুঁকছে। বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদনের পরিমাণ কমানো হয়েছে। ফলে দেশে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানের নতুন অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র জ্বালানির অভাবে তাঁদের দৈনিক প্রায় চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-গরমের মোকাবিলায়
যদিও বেসরকারি মতে প্রায় সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের মতোই পাকিস্তানে পেট্রোল ও ডিজেল সেভাবে মেলে না। তাই পেট্রোল-ডিজেলের ক্ষেত্রে আমদানিই ভরসা। কিন্তু যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দাম অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু বাড়তি দাম মিটিয়ে আমদানি করার মতো অর্থ নেই ইসলামাবাদের কাছে। যে কারণে অনেকটাই কাটছাঁট করতে হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। মাত্র এক সপ্তাহ হল দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতির জন্য ইমরান খান সরকারকেই দায়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইমরান সরকারের অপদার্থতার কারণেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার শূন্য। চলতি জ্বালানি সঙ্কটের জন্য ইমরান সরকারই দায়ী। সরকার দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।