প্রতিবেদন : জি২০ সামিট উপলক্ষে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করবে ইএম বাইপাস। প্রথম দর্শনেই কলকাতা মহানগরী সম্পর্কে বিদেশি প্রতিনিধিদের যাতে বেশ উচ্চধারণা হয়, সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের এই উদ্যোগ। জানুয়ারিতেই এই শীর্ষবৈঠক। তারই অঙ্গ হিসেবে কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছে ৩টি আলোচনা-সভার। সেখানেই যোগ দিতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। বাইপাসের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সম্প্রতি কেএমডিএ-র হাত থেকে কলকাতা পুরসভার হাতে এলেও কাজটি করবে মূলত কেএমডিএ। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে হিডকো। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ শেষ করতে হবে জি২০ শুরুর আগেই। সেই লক্ষ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতা।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাঁচাতে দেড় কোটি মকুব
প্রথম লক্ষ্য, বিমানবন্দরে নেমে শহরে প্রবেশের মুখেই বিদেশি প্রতিনিধিদের মুগ্ধ করা। এরজন্য মহিষবাথান ব্রিজ থেকে বিশ্ববাংলা গেট পর্যন্ত অ্যাকশন এরিয়া ওয়ানকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুন সাজে। আপাতত খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। রাস্তা মেরামতি থেকে শুরু করে সবুজায়ন, ফুটপাথের নতুন রূপ, সমস্ত সেতু এবং রেলিংয়ে নতুন রঙের প্রলেপে সবকিছুই থাকছে পরিকল্পনায়। সমস্ত গর্ত জরুরি ভিত্তিতে বুজিয়ে দিয়ে মসৃণ করে তোলা হবে বাইপাস। বসানো হবে নতুন কার্ব স্টোন, পথের ধারের সমস্ত জঞ্জাল-রাবিশ সরিয়ে শোভা পাবে মেক্সিকান ঘাস। সাজিয়ে তোলা হবে বিশ্ববাংলা সরণির সাইকেল লেনকেও। উল্টোডাঙা ব্রিজ, চিংড়িহাটা ব্রিজ এবং মা ফ্লাইওভারে লাগানো হবে নতুন রঙের প্রলেপ। বাদ যাবে না পার্ক সার্কাস ৪ নম্বর ব্রিজও। মা ফ্লাইওভারকে নতুন মাত্রা দেবে রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ সাইনেজ।