প্রতিবেদন : আলিপুরের ইন্ডিপেনডেন্স মিউজিয়ামে স্বল্প আলোচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে তুলে ধরে একটি পৃথক গ্যালারি তৈরি করা হচ্ছে। দীনেশ গুপ্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের কাহিনিও এবার ওই মিউজিয়ামে বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে বলে রাজ্য হেরিটেজ কমিটির চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করতে গঠিত কুখ্যাত রাওলাট কমিটির রিপোর্টের একটি কপি এবং বিপ্লবীদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডারও এবার দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন-রাস্তায় ভ্রূণ তীব্র চাঞ্চল্য
উল্লেখ্য, আলিপুরের পূর্বতন প্রেসিডেন্সি জেল ক্যাম্পাসে ১৫ একরের বেশি জমিতে রাজ্য সরকার ওই ইন্ডিপেন্ডেন্স মিউজিয়াম তৈরি করেছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজ্যবাসীকে বিরাট উপহার আলিপুর সংশোধনাগারে তৈরি এই ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স মিউজিয়াম’। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। যার প্রতিটি পরতে জড়িয়ে আছে দেশের বীর সন্তানদের আত্মদানের অমৃত গাথা। যাঁদের অধিকাংশই এই বাংলা মায়ের সন্তান।
আরও পড়ুন-তিন বছর পর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস রাজ্যে
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। বিধানচন্দ্র রায় থেকে যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। কে নেই সেই তালিকায়? বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বাংলা মায়ের সেই বীর সন্তানদের কথা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেছেন। আলিপুর জেলের ফাঁসিকাঠে মৃত্যুবরণ করেছিলেন দীনেশ গুপ্ত, প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী, দীনেশ মজুমদারের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী।