সংবাদদাতা, কাঁথি : আগে ঘূর্ণিঝড়ে দুর্বল সমুদ্রবাঁধ টপকে জল ঢুকেছিল এলাকায়। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে গত কয়েক বছরে বারবার নিম্নচাপ হচ্ছে। ফলে অতিবৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস এলাকায় এখন কার্যত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসবের হাত থেকে বাঁচতে এবার গঙ্গাদেবীর অকালবোধন করলেন কাঁথির বাঁকিপুটের মৎস্যজীবীরা। গত প্রায় ৬৩ বছর ধরে সমুদ্রলাগোয়া এই গ্রামগুলিতে সাধারণত মাঘ-ফাল্গুন মাসে গঙ্গাপুজো হয়। এবার কিছুটা ব্যতিক্রম হল।
আরও পড়ুন-বাবররা হোটেলেই, ইডেনে আজ
উদ্যোক্তাদের দাবি, পূর্ণিমায় ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা হয়। পূর্ণিমায় সমুদ্রে জোয়ারের প্রাবল্য বেশি থাকে। সেই জলের তোড়ে আর যাতে ক্ষতি না বাড়ে, সে জন্যই মা গঙ্গার আরাধনায় মেতেছেন উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার শুরু হয়েছে গঙ্গাপুজো। এই উপলক্ষে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বসেছে ছোটখাটো মেলা। চলবে পাঁচদিন। উপকূলবর্তী বাঁকিপুট, ভোগপুর, টিয়াকোলা, গোপালপুরের বাসিন্দারা মেলায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিষ্ঠার সঙ্গে মা গঙ্গার আরাধনা করেন। মৎস্যজীবী অধ্যুষিত গ্রামগুলির বাসিন্দাদের বিশ্বাস, গঙ্গাদেবী বঙ্গোপসাগরের বারবার নিম্নচাপ এবং বড় ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করবেন।
আরও পড়ুন-প্রতিহিংসার রাজনীতি আর কতদিন?
গ্রামবাসীরা জানান, ৬২ বছর আগে বাঁকিপুটে সমুদ্রবাঁধ ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করে। সেচ দফতরের সঙ্গে গ্রামবাসীরা বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগান। ওই বছরই বাঁধরক্ষার কামনায় মা গঙ্গার পুজো শুরু হয়। তাঁদের দাবি, পরের বছর থেকে সমুদ্রবাঁধ ভাঙন বিরাট আকার নেয়নি। তাই গঙ্গা মাকে জাগ্রত বলে মানেন এলাকার বাসিন্দারা। আয়োজক গঙ্গোৎসব কমিটির সভাপতি মানিকলাল গারু, সম্পাদক তাপস করণ, সহ সভাপতি সূর্যনারায়ণ জানা বলেন, শুধু বাঁকিপুট কিংবা আশপাশের এলাকা নয়, বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানকার পুজো এবং অনুষ্ঠানে শামিল হন।