প্রতিবেদন : আন্ডার ওয়াটার টানেল করিডর। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সঙ্গে থাকছে টানেল ওয়াকওয়ে। দেশের মধ্যে কলকাতাতেই এই প্রথম। খুব বড় আর কোনও সমস্যা না এসে পড়লে সামনের বছরের গোড়াতেই গঙ্গার নিচের এই করিডর দিয়ে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (Kolkata Metro)। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশের মধ্যে প্রথম মেট্রোর কৃতিত্ব এবং গৌরব কলকাতারই। প্রায় ৪ দশক পরে সর্বপ্রথম আন্ডার ওয়াটার টানেলের গৌরব অবশ্য কলকাতার পাশাপাশি যমজনগরী হাওড়ারও। ঐতিহ্যের আইকন হাওড়া ব্রিজ এবং বিদ্যাসাগর সেতুর পাশাপাশি যমজনগরীর মধ্যে এক বিকল্প, অত্যাধুনিক যোগসূত্র হয়ে উঠতে চলেছে গঙ্গার নিচের এই মেট্রো করিডর।
কী এর বৈশিষ্ট্য? গঙ্গার জলস্তর থেকে ৩৩ মিটার গভীরে গড়ে উঠেছে এই টানেল। রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৬.৬ কিমি। পূর্ব-পশ্চিমে ৫২০ মিটার জলের নিচে। তবে যে কোনও রকম অঘটনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে যাত্রীসাধারণের সুরক্ষার বিষয়টিতেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) রেল কর্পোরেশন। ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে টানেল ওয়াকওয়ের। যে কোনওরকম জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা। হাওড়া ময়দানই হচ্ছে পশ্চিমের টার্মিনাল স্টেশন। এখান থেকে ছেড়েই মেট্রো প্রবেশ করবে হুগলি নদীর গভীরে। পৌঁছে যাবে কলকাতায়। উল্টোদিক থেকেও জলের নিচে দিয়ে ট্রেন এসে মাথা তুলবে এখানে। অত্যাধুনিক বহুতল স্টেশনে এখন চলছে শেষ তুলির টান।