প্রতিবেদন : শুক্রবার নমামি গঙ্গের বৈঠকে রাজ্যের পাঁচটি বিষয়কে সামনে রেখে আলোচনা শুরু করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সমস্যাগুলি নিশ্চিতভাবে জ্বলন্ত সমস্যা। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়টি ছিল, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা বা জাতীয় তীর্থস্থান ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। গঙ্গাসাগর মেলার ঠিক প্রাক্কালে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন-ফুটবল সম্রাট পেলেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু MP Cup-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠান
গঙ্গাসাগর মেলা : বাংলার সবচেয়ে পুরনো, ঐতিহ্যশালী এবং জনমানসে বহুল প্রচারিত গঙ্গাসাগর মেলা। প্রত্যেক বছর মকর সংক্রান্তিতে রাজ্য, দেশ এমনকী বিদেশ থেকেও তীর্থযাত্রীরা এখানে আসেন। উদ্দেশ্য, মকর সংক্রান্তিতে সাগরে স্নান করা। প্রায় ৩০-৪০ লাখ মানুষ আসেন এই মেলায়। প্রার্থনা করেন কপিল মুনির মন্দিরে। এবং ধর্মীয় আচার চলে গোটা মেলা জুড়ে। হিন্দুদের এই সম্প্রীতির মেলায় নেপাল, থাইল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কানাডা এবং জাপান থেকেও তীর্থযাত্রীরা আসেন। ফলে এই তীর্থস্থানের গুরুত্ব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অপরিসীম। দেশে কুম্ভমেলার পরই গঙ্গাসাগর মেলা গুরুত্ব পায় পুণ্যার্থীদের কাছে। সেই কারণেই গঙ্গাসাগরকে জাতীয় তীর্থক্ষেত্র বা জাতীয় মেলা করার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন-ফান | ফেস্টিভ্যাল | ফেলুদা
সুন্দরবন মাস্টারপ্ল্যান : সুন্দরবন মাস্টারপ্ল্যানের প্রয়োজন। মূল উদ্দেশ্য একদিকে ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরি করা এবং অন্যদিকে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পর্যটন এবং এলাকার অর্থনীতি, পরিবেশ।
নদীভাঙন : নদীভাঙন বাংলার সবচেয়ে বড় সমস্যা। মালদা, মুর্শিদাবাদ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। যার জন্য বন্যা বেড়েছে। এখনই পদক্ষেপের প্রয়োজন ভাঙন রোধে।
আরও পড়ুন-চুরিতে শীর্ষে যোগীরাজ্য
ড্রেজিং : পলি জমে নদীখাত কমে যাওয়া বর্তমান সভ্যতার সব থেকে বড় সমস্যা। পশ্চিমবঙ্গ তার বাইরে নয়। যার জেরে বন্যা হয়। শস্যহানি হয়। এখনই খনন দরকার।
উপকূলে নজর : পুদুচেরি, কেরল, তামিলনাড়ুর মতোই বাংলার উপকূল অঞ্চলগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নীতি আয়োগের এখনই উচিত বিষয়টিতে নজর দেওয়া।