শিব পুরাণ অনুযায়ী দেবী পার্বতী একদিন স্নানের সময় নিজের দেহমিশ্রিত হলুদ থেকে একটি পুতুল গড়েন। আর সেই পুতুলেই প্রাণসঞ্চার করে পুত্ররূপে বরণ করে নেন। দেবী পার্বতী এরপর গণেশকে দ্বাররক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করে স্নান করতে যান। এদিকে মহাদেব গণেশের কথা জানতেন না। তিনি সেইসময় পার্বতীর ঘরে ঢুকতে চান। কিন্তু মাতৃ আজ্ঞা পালনে অনড় গণেশ তাঁকে ঢুকতে দেন না। ফলে ক্রোধবশত শিব ত্রিশূল দিয়ে গণেশের শিরশ্ছেদ করেন। পার্বতী শিবের এ-হেন কার্য দেখে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করতে শুরু করেন। তখন শিব নন্দীর সাহায্যে একটি হাতির মাথা নিয়ে এসে গণেশের মাথায় স্থাপন করেন এবং তিনি প্রাণ ফিরে পান। আর এরপর থেকে তিনি গজনন নামে পরিচিতি পান। মহাদেবের আশীর্বাদে তিনি প্রথম দেবতা রূপে স্বীকৃতি পান। এবং তাই তাঁর পুজো সবার আগে হয়। আমাদের দেশে অনেক বড় বড় গণেশ-মন্দির আছে।
আরও পড়ুন-শরৎ কুটির
সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির
মুম্বাইয়ের প্রভা দেবী এলাকায় সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরটি অবস্থিত। এ-দেশের গণেশ মন্দিরের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত এই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। এই সিদ্ধিবিনায়ককে ইচ্ছাপূরণকারী প্রভু বলা হয়। এই সিদ্ধিবিনায়ক মূর্তি কিন্তু অন্যান্য গণেশ মূর্তির মতো হয় না। এখানে গণপতি বাপ্পার গায়ের রং লাল এবং উজ্জ্বল। আর তাঁর কপালে ত্রিনয়ন অর্থাৎ তৃতীয় চোখ আছে। অন্যান্য গণেশ মূর্তির মতোই তাঁরও চারটি হাত আছে। সেই চার হাতের একটি হাতে পদ্ম, একটি হাতে কুঠার, একটি হাতে পবিত্র পুঁথির মালা অর্থাৎ জপমালা এবং আরেকটি হাতে থাকে তাঁর প্রিয় মোদক। সিদ্ধিবিনায়কের দুই পাশে আছেন তাঁর দুই স্ত্রী ঋদ্ধি এবং সিদ্ধি। এই ঋদ্ধি ও সিদ্ধিকে রূপ, ধনদৌলত, এবং সফলতার দেবী বলে মানা হয়। এই গণেশের যেমন ত্রিনয়ন আছে ঠিক তেমনি গলায় আছে একটি সাপ, অনেকটা ভগবান শিবের মতোই। এই মূর্তিটি আড়াই ফুট উঁচু এবং দু’ফুট চওড়া। এই মূর্তিটি কালো পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-রিয়েল মাদ্রিদে মুখ্যমন্ত্রী-সৌরভ, খতিয়ে দেখলেন আধুনিকীকরণ ও পরিকাঠামো উন্নয়ন
এই মন্দির তৈরির পেছনে আছে একটি ইতিহাস। এই মন্দিরটি ১৮০১ সালের ১৯ নভেম্বর নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন লক্ষ্মণ বিথু পাতিল এবং দেউবাই পাতিল। দেউবাই পাতিল ছিলেন নিঃসন্তান। যাতে অন্যান্য নিঃসন্তান মহিলা গণেশের কাছে এসে তাঁকে পুজো করে সন্তান লাভ করতে পারেন তার জন্যই পাতিলরা এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৯১ সালে মহারাষ্ট্র সরকার এই মন্দির তৈরির জন্য জমি দান করেন। বর্তমানে এই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির পাঁচতলা। এই মন্দিরের দ্বিতীয় তলায় একটি হাসপাতাল আছে এবং এখানেই রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শ্রীমৎ দগরুশেঠ হালওয়াই গণপতি মন্দির
এই মন্দিরটি পুনেতে অবস্থিত। পুনের সবথেকে দর্শনীয় এবং বিখ্যাত গণেশ মন্দির হচ্ছে এই শ্রীমৎ দগরুশেঠ হালওয়াই গণপতি মন্দির। এখানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তর থেকেই বহু দর্শনার্থী ভগবান গণেশের কাছে প্রার্থনা করতে আসেন। ইতিহাস অনুযায়ী এই মন্দিরটি স্থানীয় ও মিষ্টি বিক্রেতা দগরুশেঠ হালওয়াই এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীবাঈ ১৮৯৩ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৯২ সালে তাঁর দুই ছেলে প্লেগে মারা যান আর সে-কারণেই তাঁরা ১৮৯৩ সালে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।
এই মন্দিরে অবস্থিত গণেশ মূর্তিটি ২.২ মিটার লম্বা এবং ১ মিটার চওড়া। মূর্তিটি প্রায় চল্লিশ কিলো সোনা দিয়ে সুশোভিত। নিয়মিত পুজো অভিষেক এবং ভগবান গণেশের আরতি করা হয় যা দেখলে মন ছুঁয়ে যাবে।
এই মন্দিরের ট্রাস্ট সমাজকল্যাণ এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্যও কাজ করে। এ-ছাড়াও এই ট্রাস্টটি ছোট ব্যবসায় আর্থিক এবং শিক্ষাগত সহায়তা প্রদান করে। এবং এর পাশাপাশি একটি বৃদ্ধাশ্রমও চালায়।
স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য মানুষকে একত্রিত করার লক্ষ্যে লোকমান্য তিলক গণপতি উৎসবকে সর্বজনীনভাবে উদযাপন করেছিলেন। আর তখনই দগরুশেঠ গণপতি পুণেতে সব থেকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন-ভারতে আইএস জঙ্গি শিবির! ৩০ জায়গায় তল্লাশি চালাল এনআইএ
বিঘ্নেশ্বর মন্দির ওজার
মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে গণেশের আটটি রূপের মন্দির। অর্থাৎ গণেশের আটটি ভিন্ন ভিন্ন রূপ। আর সেগুলোই অষ্টবিনায়ক মন্দির রূপে পরিচিত। এই আটটি মন্দিরের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওজারের এই বিঘ্নেশ্বর মন্দির। পুণে থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দিরটি। ও কুকারি নদীর তীরে দাগাও বাঁধের কাছে অবস্থিত এই মন্দিরটি। এখানে পূজিত গণেশের রূপটিকে বলা হয় বিঘ্নেশ্বর। অর্থাৎ প্রতিবন্ধকতার প্রভু অথবা বাধাদূরকারী দেবতা হিসেবে এখানকার গণেশ চিহ্নিত। পুরাণ অনুযায়ী বিঘ্নশূর নামক এক অসুরের সঙ্গে এই স্থানেই গণেশের যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে গণেশ বিঘ্নশূরকে পরাজিত করেন। মরার আগে নাকি বিঘ্নশূর গণেশের কাছে ক্ষমা চান আর সে-কারণে গণেশ নাকি সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের নামটি রাখেন বিঘ্নেশ্বর। এখানে সিদ্ধিদাতা গণেশ পূজিত হন বিঘ্ননাশক রূপে।
পেশোয়ারা বাজিরাও প্রথমের সামরিক কমান্ডার ছিলেন চিমাজিআপা। তিনি এই মন্দিরটিকে সংস্কার করেছিলেন। এবং পর্তুগিজদের কাছ থেকে ভাসাই দুর্গ দখল করার পরে এই মন্দিরের চূড়াটি সোনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে গণেশ ভক্ত আপা শাস্ত্রী জোশি দ্বারা মন্দিরটি সংস্কার হয়েছিল। এই মন্দিরটিতে গণেশ চতুর্থী, গণেশ জয়ন্তী ছাড়াও কার্তিক পূর্ণিমা থেকে শুরু হওয়া পাঁচদিনের একটি উৎসব পালন করা হয়। খুব ধুমধাম সহকারে সেই সময় এই গণেশ উৎসব পালন করা হয়। এই মন্দিরে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন কারণ তাঁরা মনে করেন যে বিঘ্নেশ্বর গণেশ রোগ নিরাময়কারী, তাঁকে দর্শন করলে সমস্ত বাধা-বিঘ্ন থেকে শুরু করে রোগভোগ সবকিছুরই বিনাশ হবে।
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের ভিত্তিতে বিদেশ মন্ত্রকে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের
গণপতি পুলে মন্দির, রত্নগিরি
রত্নগিরিতে অবস্থিত গণপতি পুলে মন্দিরটি চারশো বছরের পুরনো একটি মন্দির। এখানে যে বিনায়কের মূর্তিটি আছে তাকে স্বয়ম্ভূ খেতাব দেওয়া হয়ে থাকে। মনে করা হয় ভগবান গণেশ এই মন্দিরে প্রকট হয়েছিলেন। স্থানীয় লোককাহিনি অনুসারে দেবতা গণেশ একজন স্থানীয় মহিলার কথায় অভিভূত হয়ে তাঁর আসল আবাস গুলে থেকে পুলেতে চলে আসেন। যেহেতু তিনি এই স্থানে চলে এসেছিলেন সেই কারণে এই অঞ্চলের নাম হয় গণপতি পুলে। এই মন্দিরটি মুম্বাই থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কঙ্কণ উপকূলে রত্নগিরিতে অবস্থিত।
সারাবছর ধরে এই মন্দিরে ভক্তের ঢল নামে। এই মন্দিরের গণেশ মূর্তি পশ্চিম দিকে মুখ করে অবস্থান করেন। মনে করা হয় এই গণেশ পশ্চিমঘাটগুলিকে রক্ষা করেন। মন্দিরটি একটি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এই মন্দিরের দেবতা গণপতিকে পশ্চিম দ্বারপালক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই মন্দিরের একটি চমৎকার দিক হল পটভূমিতে রয়েছে একটি দুর্দান্ত পাহাড়, যে পাহাড় ভগবান গণেশের মূর্তির মতো দেখতে। এটি একটি খুব ছোট শহর, মাত্র একশো ঘর বাসিন্দা এই শহরে বাস করেন। মন্দিরটি সমুদ্রসৈকতের পাশে অবস্থিত। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। এখানে স্বচ্ছ জল ছাড়াও ম্যানগ্রোভ এবং নারকেল, পাম-সহ বিভিন্ন উদ্ভিদের সমারোহ দেখা যায়। কথিত আছে গণপতি পুলের ৪০০ বছরের পুরনো গণপতি মূর্তিটি মাটি থেকে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতি তৈরিতে চন্দ্রিমার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটি
মুণ্ডকাটিয়া গণেশ মন্দির, উত্তরাখণ্ড
গোটা দেশ জুড়েই পূজিত হন সিদ্ধিদাতা গণেশ। কিন্তু ভারতবর্ষের এই মন্দিরেই মস্তকহীন গণপতিকে পুজো করা হয়। প্রচলিত মূর্তি থেকে বেশ খানিকটা আলাদা এই মূর্তি। স্থানীয় অধিবাসীরা এই গণেশ মন্দিরকে বলেন মুণ্ডকাটিয়া গণেশ মন্দির। উত্তরাখণ্ডের সোন প্রয়াগ থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে কেদারনাথ যাওয়ার পথে এই মন্দিরটি বিদ্যমান। এই মন্দিরের তলা দিয়ে বয়ে গেছে মন্দাকিনী নদী। কেদার উপত্যকায় অবস্থিত এই মন্দিরটির চারিদিক জঙ্গল দিয়ে ঘেরা। অপরূপ সৌন্দর্য এখানে বিরাজ করছে।
পুরাণ অনুযায়ী এইখানেই নাকি শিব গণেশের মস্তক ছিন্ন করেছিলেন এবং এখানেই নাকি পুনরায় প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন সিদ্ধিদাতা বিনায়ক। আর সেই কারণেই এই মন্দিরে মুণ্ডহীন গণেশকেই প্রস্তর রূপে পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন-পুলিশের সাফল্য: চুঁচুড়ায় নাবালিকা অপহরণে ধৃত ৫
রকফোর্ড উচি পিল্লায়ার মন্দির
এই মন্দিরটি তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে অবস্থিত। এই গণেশ মন্দিরের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে একটি সুন্দর পৌরাণিক কাহিনি। রামায়ণে বলা হয়েছে যে লঙ্কার রাজা রাবণকে পরাজিত করার পর রাবণের ছোট ভাই বিভীষণকে রামচন্দ্র শ্রীরঙ্গনাথের মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বর্গের দেবতারা নাকি চাননি যে সেই মূর্তি লঙ্কায় যাক। আর সেই কারণেই বিভীষণের কাছে যাতে শ্রীরঙ্গনাথের মূর্তিটি না থাকে তার জন্য গণেশের সাহায্য চেয়েছিলেন দেবতারা। দেবতাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছিলেন গণেশ। এরপর গণেশ একটি গরুর ছদ্মবেশে বিভীষণের সামনে হাজির হয়েছিলেন। এবং বিভীষণকে নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন। এরপরে বিভীষণ কাবেরী নদীতে স্নান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যখন বিভীষণ কাবেরী নদীতে স্নান করতে নামেন তখন গণেশ সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে শ্রীরঙ্গনাথের মূর্তিটি মাটিতে স্থাপন করে দেন। ফলে মূর্তিটি আর সেখান থেকে সরানো যায় না। এটা দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন বিভীষণ। গরুরূপী গণেশকে চেপে ধরে উচি পিল্লায়ারে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে সেই গরুকে চেপে ধরলে বুঝতে পারেন যে গণেশ ছদ্মবেশে তাঁর কাছে এসেছিলেন।
এই পবিত্র মন্দিরটি তামিলনাড়ুর ত্রিচির রকফোর্টের শীর্ষে অবস্থিত। সপ্তম শতাব্দীতে পল্লবদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এই মন্দিরটি। এই মন্দিরটি দাঁড়িয়ে আছে একটি ২৭৩ ফুট উঁচু পাথরের উপর।
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের ভিত্তিতে বিদেশ মন্ত্রকে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের
রণথম্ভোর গণেশ মন্দির, রাজস্থান
এই ত্রিনেত্র গণেশ মন্দিরটি রাজস্থানের রণথম্ভোর দুর্গে অবস্থিত। তেরোশো খ্রিস্টাব্দে রাজা হ্যামার এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন। এই মন্দিরের গণেশের পুরো পরিবার পূজিত হয়। এই মন্দিরের প্রবেশ করার জন্য ২৫০ সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয়। এই মন্দিরে প্রতিদিন পাঁচটি ভিন্ন ধরনের আরতি করা হয়। সারাবছর জুড়ে এই ত্রিনেত্র গণেশের ঐশ্বরিক আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে এই মন্দিরে।
খাজরানা গণেশ মন্দির
সন্তান লাভের ইচ্ছা থেকে চাকরির প্রয়োজন, জ্ঞান থেকে ধনসম্পদের আকাঙ্ক্ষা— সবকিছু পাওয়ার জন্যই নাকি উল্টো স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে মানত করতে হয়। আর যে মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে সেটি হল মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের খাজরানা গণেশ মন্দিরে। অদ্ভুত বিশ্বাসে ঘেরা এই গণেশ মন্দিরের কাহিনি অনুসারে এই মন্দিরের গণপতি ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। আর মনোস্কামনা করার জন্য মন্দিরের দেয়ালে একটি উল্টো স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হয়। এরপর যখন মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে যায় তখন আবার তাঁরা এসে সোজা স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে যান। বহু বছর ধরে এই মন্দিরে এই রীতিই চলে আসছে।
আরও পড়ুন-নিপা আতঙ্কে আইসিএমআর! নতুন অ্যান্টিবডি নিয়ে ট্রায়ালের সম্ভাবনা
জনশ্রুতি অনুযায়ী এই মন্দিরটি ১৭৩৫ সালে তৎকালীন হোলকার রাজবংশের শাসক রানি অহল্যাবাই হোলকার নির্মাণ করেছিলেন। কথিত আছে, স্থানীয় এক পণ্ডিত স্বপ্নাদেশ পান যে, একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি গণেশ মূর্তি মাটির নিচে লুকানো রয়েছে। রানি তখন নির্দিষ্ট জায়গায় খননকার্য চালিয়ে এই গণেশমূর্তি উদ্ধার করেন এবং তারপরেই এই মন্দিরটি এইস্থানে প্রতিষ্ঠা করা হয়।