সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: শীত মানেই পিকনিক আর ডে-আউট। সেইদিকে নজর রেখে শীত পড়তেই সেজে উঠছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার খুব কাছের পর্যটনকেন্দ্র গড়চুমুক। পিকনিক হোক বা সপ্তাহান্তের অবসর, যেকোনও ক্ষেত্রেই কাছেপিঠের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে উঠে আসবে গড়চুমুকের নাম। ৫৮ স্লুইস গেট লাগোয়া সেই গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রকে এবার নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-চন্দননগরে জগদ্ধাত্রীর বড় আকর্ষণ আলোই
মিনি জু-কে উন্নীত করা হচ্ছে স্মল জু-তে। একসময় বাঘরোলের প্রজননক্ষেত্র এবং সংরক্ষণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল এটিকে। অনেকটা চিতাবাঘের মতো দেখতে এই লুপ্তপ্রায় প্রাণীর সংখ্যা এখানে প্রায় ২৫টি। আছে রেসকিউ সেন্টারও। মানুষকে আরও আকৃষ্ট করতে হাওড়া জেলা পরিষদের অধীনে থাকা হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বভার এবার একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হয়েছে। এবছর ওই সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ৯০এর দশকের একেবারে গোড়ায় গড়ে তোলা হয়েছিল এই পর্যটনকেন্দ্র।
আরও পড়ুন-অবৈধ বালিখাদানে অভিযান, মাফিয়াদের হাতে হেনস্থা হলেন তৃণমূল নেত্রী চৈতি
এখানকার অন্যতম আকর্ষণ ৫৮ স্লুইস গেট। হরেকরকম ফুল, ফল ও বাগান তৈরি করা ছাড়াও বিভিন্ন গাছগাছালির সমারোহে সবুজে ভরিয়ে তোলা হচ্ছে। এরই সঙ্গে পর্যটনকেন্দ্রের ভেতর শিশু উদ্যানটিও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রের ভিতর জলাশয়ে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রের ভেতর থাকা কটেজগুলি সংস্কার করা হচ্ছে এবং সুসজ্জিত ডরমেটরি তৈরি করা হচ্ছে। থাকছে ক্যাফেটেরিয়াও। পর্যটকদের বসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সুদৃশ্য চেয়ার বসানো হয়েছে। শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। জেনারেটারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পর্যটকরা এখানে যাতে রাত্রিযাপন করতে পারেন তার জন্য এখানে থাকাখাওয়ার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-শিশুর জন্মে বিশ্বে বিরল নজির গড়ে সফল সরকারি হাসপাতাল, শিশুর নাম রাখা হল সাফল্য
পর্যটনকেন্দ্রের আকর্ষণ আরও বাড়াতে এখানকার মিনি জুকে স্মল জুতে উন্নীত করা হচ্ছে। হরিণ, ভাল্লুক সহ বিভিন্ন জীবজন্তু আনা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে পর্যটন কেন্দ্রে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। শীতকালের শুরুতে গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্র নতুন রূপে গড়ে তোলার উদ্যোগে বেজায় খুশি এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে সাধারণ পর্যটকরা। তাঁরা বলছেন, আমফান ও করোনা পরিস্থিতিতে গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রের কিছুটা ক্ষতি হয়েছিল। অবশেষে এটি ঢেলে সাজিয়ে তোলায় এবছর পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে এখানে।