প্রতিবেদন : পুলওয়ামা হামলার প্রাথমিক দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর (Shankar roychowdhury)। কয়েকদিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক প্রথম পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দায়ী করেছিলেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন সেনাপ্রধান (Shankar roychowdhury) বলেন, পুলওয়ামা হামলা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিরাট বড় ধাক্কা ছিল। প্রশাসনের শীর্ষস্তরের ভুলের জন্যই পুলওয়ামায় হামলা হয়েছিল। সেনা জওয়ানদের এমন একটা রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেটা সবসময় বিপদসঙ্কুল। পাকিস্তানের এত কাছাকাছি এলাকা দিয়ে বিশাল কনভয় নিয়ে যাওয়া কখনও সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। ৭৮টি গাড়ি, আড়াই হাজার জওয়ানকে কেন এভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হল। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে প্রাক্তন সেনাপ্রধান অভিযোগ করেন, পুলওয়ামা হামলার প্রাথমিক দায়ভার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উপরেই বর্তায়। তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল কখনওই এই গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না।
আরও পড়ুন- সুদানে মৃত্যুমিছিল
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণে হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সেনা জওয়ান। দেশের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় মোদি সরকারের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন ওঠে। কয়েকদিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা মোদি ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা সত্যপাল এই হামলা নিয়ে কেন্দ্রকে দায়ী করেন। প্রাক্তন সেনাপ্রধানের মতো সত্যপালও প্রশ্ন করেন, চাওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনীকে কেন কপ্টার দেওয়া হল না? জওয়ানদের কেন পাক সীমাম্তবর্তী এলাকা দিয়ে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হল? তবে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি মোদি সরকার। মোদি সরকারের এই নীরবতাই পুলওয়ামা হামলার রহস্য আরও জটিল করেছে।