খুশকি থেকে মুক্তি

শীতকাল মানেই আট থেকে আশির মাথায় খুশকি (dandruff)। সারাক্ষণ ঝরতে থাকা বা চুলে আঠার মতো লেগে-থাকা খুশকি যেন এক বিড়ম্বনা। এটা একধরনের চর্মরোগ যার যথাযথ দেখভাল এবং চিকিৎসার প্রয়োজন। খুশকি কেন হয়? কীভাবে করবেন নির্মূল। বিশেষজ্ঞের টিপসের সঙ্গে রইল সম্পূর্ণ গাইডলাইন। লিখছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

খুশকির নাম শুনলেই মনে হয় এটা শুধুমাত্র মেয়েদেরই সমস্যা! কিন্তু সত্যিটা হল খুশকির সমস্যায় কিন্তু নারীর চেয়ে পুরুষেরা বেশি ভোগেন। এমনকী ছোটদেরও খুশকি হয়। কিন্তু, খুশকি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। খুশকিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে শীতকালে এটা বাড়ে। তাই এর শীতে চুলের যথাযথ যত্ন এবং খুশকির চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
খুশকি কী
খুশকি এক ধরনের চর্মরোগ। সব মানুষের স্ক্যাল্পেই এক ধরনের ছত্রাক রয়েছে যার নাম মেলাসেজিয়া। যা ত্বকে নতুন কোষের জন্ম দিতে সহায়তা করে। কিন্তু যদি সেই স্ক্যাল্প যদি নোংরা এবং ময়লা হয় তাহলে এই মেলাসেজিয়াই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে এবং ফাঙ্গাসটি থেকে সংক্রমণ শুরু হয়। এই সংক্রমণ বেড়ে গেলে সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড বা তৈলগ্রন্থি থেকে খুব বেশি পরিমাণে সিবাম ক্ষরণ হতে থাকে। এই সিবাম ছড়িয়ে যায়, এর সঙ্গে রোজ পরিবেশ দূষণের কারণে বিশেষত শীতকালে চুলে বেশি ধুলো-ময়লা জমে, অনেকেই মাথায় রোজ জল দেন না এই ঋতুতে, ফলে সবই চুলের গোড়ায় আটকে যায়। এইভাবে মৃতকোষের আস্তরণ বাড়তে থাকে। সেগুলোই সাদা ফ্লেকি চামড়া বা সাদা গুঁড়োর মতো দেখতে খুশকি। কারও কারও মাথায় হলদেটে খুশকিও হয়। শুধু তেলামাথা নয়, শুষ্ক, রুক্ষ স্ক্যাল্পও খুশকির অন্যতম কারণ।
খুশকির সমস্যাকে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবেন না ফলে বিভিন্ন ধরনের সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এবং ফাংগাল ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। খুশকির গুরুতর হলে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস হয়। এই পর্যায়ে ভীষণ চুলকোয় মাথা। ইরিটেশন হতে থাকে। তখন মাথা চুলকাতে গিয়ে স্ক্যাল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সংক্রমণ বেড়ে যায়।
খুশকি কারণ
খুশকি জিনগত বা বংশগত কারণেও হয়। চুলের অপরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত না চুল ধোয়া, অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং অতিরিক্ত শুষ্ক স্ক্যাল্প ইত্যাদি কারণ ছাড়া অনেক শারীরিক কারণেও খুশকি হয়। পিসিওডি এবং থাইরয়েড থাকলে খুশকি হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে খুশকি হয়। সেই সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকেও সিবাম ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর থেকেও খুশকি বাড়ে ক্রমাগত।
খুশকি বুঝবেন কী করে
খুশকির কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে তবে সেটাও ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়। যেমন, মাথায় অসম্ভব চুলকানি। সারাক্ষণ মনে হয় চুলকোতেই থাকি।
স্ক্যাল্পে লালচে প্যাচ বা ছোপ পড়ে যায়। ভুল করে নখ দিয়ে আঁচড়ে ফেললে সংক্রমণ বেড়ে যায়। এই প্যাচগুলো একটু চটচটে ধরনের হয় এবং দিনে দিনে গুরুতর হতে থাকে।
ফ্লেকি স্ক্যাল্প হয়ে যায়। সমানতালে চামড়া উঠতে থাকে যেগুলো আদতে মৃতকোষ।
খুশকি শরীরের যেকোনও জায়গায় হতে পারে। সাধারণত মাথার ত্বকে, মুখে, বুকে, চোখের পাতা, নাকের দু’পাশে খুশকি হয়। এর মধ্যে চোখে খুশকি বেশ বিপজ্জনক।
চোখে খুশকি
চুলের খুশকি দূর করতে দেরি হলে সমস্যা নেই, কিন্তু চোখের পাতার খুশকি বাড়তে দেবেন না। চোখের মধ্যে সংক্রমণ করে কর্নিয়ার ক্ষতি করে দিতে পারে। চোখের খুশকি অনেক সময় মাথা থেকেই আসে আবার চোখের পাতায় যদি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হয়, তা হলেও খুশকি হতে পারে। এ ছাড়া ছত্রাকের সংক্রমণ হলেও চোখের পাতায় খুশকি হয়।
চোখের পাতায় খুশকি বাড়লে চোখ জ্বালা করে, চুলকোয়, লাল হয়ে যায়। চোখে পিঁচুটি জমে উপরের ও নিচের চোখের পাতা জুড়ে যায়। চোখের পাতা ঝরতে শুরু করে। শুষ্ক চোখ বা ‘ড্রাই আই’-এর সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ‘ক্রনিক আই ইনফেকশন’ ও হতে পারে।
চোখের পাতার খুশকি দূর করতে নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে পারেন। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কাঠবাদামের তেল লাগালেও উপকার পেতে পারেন।
ছোটদের খুশকি
ছোটদের মাথার ত্বকে খুশকি বিরল হলেও হয়। খুব গরম পড়লেও যেমন ছোটদের মাথার ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায় তেমন শীতেও শিশুদের ত্বক শুষ্ক হয়। এই শুষ্কতার কারণে মাথার ত্বকে লালচে ভাব, চুলকানি দেখা দিতে পারে। আবার ছোটদের মাথায় খুব বেশি তেল দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে মায়েদের মধ্যে তা থেকেও স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয় আর ধুলো-ময়লা জমে খুশকি হতে পারে। তাই ছোটদের খুশকি রোধ করতে প্যারাবেন-মুক্ত মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার রাখুন। চুল খুব ভাল করে নিয়মিত আঁচড়ান।
ছেলেদের খুশকি
খুশকির সমস্যা মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি। শীতকালে সবসময় চুল ও মাথার ত্বক আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। এ আর্দ্রতা শুধু বাইরে থেকে নয়, ভেতর থেকেও রাখতে হবে। তাই জল খান পর্যাপ্ত। বাজারচলতি শ্যাম্পু বা লোশন বেশি না ব্যবহার করাই ভাল। কারণ ওই শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদান ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু করার পর লেবুর রস জলে দিয়ে চুলে একবার ঢেলে নিন।
ছেলেদের হাতে সময় খুব কম থাকে তাই যখন চুল কাটতে যাচ্ছেন তখন এক্সফোলিয়েট করে নিন। ছেলেদের কাছে বিষয়টা ঝামেলার মনে হলেও খুব ভাল কাজ করবে। পার্লার বা সেলুনেই একটা ভাল হেয়ার ম্যাসাজ নিয়ে নিন, তাতে অনেকটাই মৃতকোষ উঠিয়ে দিতে পারবে। নিয়মিত শ্যাম্পু করুন।

খুশকি তাড়াতে এক্সফোলিয়েশন
খুশকি দূর করতে এক্সফোলিয়েশন সবার জন্যই জরুরি। অ্যাসপিরিন ওষুধ নিন ছ’টা বা আটটা। সেই অ্যাসপিরিনের সঙ্গে হালকা গরম জল মিশিয়ে পেস্ট বানান। প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এবার ওই পেস্ট টুথব্রাশের সাহায্যে ভেজা স্ক্যাল্পে আঙুল দিয়ে ঘষে ঘষে লাগান। দেখবেন নখ যেন না লাগে। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন।
তেল
চুলে তেল দিলে ভাল কন্ডিশনিং হয়। চুল ভাল থাকে কিন্তু খুশকি দূর করতে তেলের কোনও ভূমিকা নেই। বরং বেশি তেল খুশকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কয়েকটি তেল যেমন টিট্রি অয়েল, আমন্ড অয়েল, আর্গান অয়েল ইত্যাদি মাসে একবার চুলের গোড়ায় আলতো করে লাগিয়ে একটা রাত রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নেওয়া যেতে পারে।
খুশকি দূর করতে শ্যাম্পুর কোনও বিকল্প নেই। ঠিকভাবে শ্যাম্পু ব্যবহার না করা, চুল পরিষ্কার না রাখার ফলেই খুশকি হয়। সপ্তাহে অন্তত চারদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
খুশকির দাওয়াই
দু’কাপ জল বসান। জল ফুটতে শুরু করলে ওতে কয়েকটা নিম পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে দিন। সঙ্গে দিন দু’চামচ চাল ও অর্ধেকটা লেবু। ৪-৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। একটু ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। ২-৩ চামচ শ্যাম্পু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার স্ক্যাল্পে খুশকির জায়গায় কটন বল দিয়ে লাগান। পুরো চুলেও দিতে পারেন। ৪০-৪৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নিমপাতা-ফোটানো জল চুলে দিন মাঝেমাঝেই, কারণ একাই একশো। নিমে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল উপাদান স্ক্যাল্পের নানা সংক্রমণ সারিয়ে তোলে। চুলকে ময়েশ্চারাইজড ও ডিপ কন্ডিশনিং করে। স্ক্যাল্পে যে কোনও ফাংগাল ইনফেকশন সারিয়ে তোলে। খুশকির সমস্যার সমাধান করে।
নারকেল তেল, লেবুর রস এবং মেথি গুঁড়ো চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রেখে দিন। খুশকি সহজেই দূর হবে।
খুশকির জন্য কিটোকোনাজল জাতীয় শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে ।
অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম ব্যবহার করা যায়।
স্যালিসিলিক অ্যাসিড-যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়। সেলেনিয়াম সালফাইড যুক্ত শ্যাম্পুও ব্যবহার করা যেতে পারে।
খুব মাইল্ড অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অনেক প্রোডাক্ট একসঙ্গে ব্যবহার না করে কোনও এক ধরনের প্রোডাক্টই ব্যবহার করুন।
ঘুমানোর আগে কিছুটা জলপাই তেল গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তোয়ালে দিয়ে মাথা মুড়িয়ে রাখুন অথবা সারারাত শাওয়ার ক্যাপ পরে রাখুন যাতে তেল আপনার মাথার ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্র করে। সকালে শ্যাম্পু করে নিন।
খুশকি সারাতে হোমিওপ্যাথি
সালফার ও গ্রাফাইট, থুজা, ন্যাট্রাম মুরিয়াটিকাম-এর মতো হোমিওপ্যাথি ওষুধ খুশকির জন্য খুব ভাল ওষুধ। তবে এগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডোজ জেনে নিন।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
রোজ ব্যায়াম এবং প্রাণায়াম করুন। এতে স্ট্রেস রিলিভ হবে। স্ট্রেস যত কমবে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা তত কমবে।
এখন বাজারে বিভিন্ন হেয়ার স্প্রে, জেল, ওয়াক্স পাওয়া যায় যেগুলো স্ক্যাল্পের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। খুব বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই চেষ্টা করুন না করতে।
চুলে সরাসরি একটানা সূর্যের আলো না লাগানোই ভাল। চড়া রোদে অবশ্যই মাথা ঢেকে বেরন। এতে ড্যামেজ কমবে এবং খুশকির সম্ভাবনাও কমবে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড স্ক্যাল্পের অয়েল গ্ল্যান্ডের তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, হাইড্রেশন লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ওমেগা থ্রি রয়েছে এমন খাবার বেশি করে খান।

ডাঃ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
ডার্মাটোলজিস্ট
খুশকি হল সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বা ড্যানড্রফও। শরীরে যে অংশে রোম রয়েছে, মাথা হোক বা বুকে, দাড়িতে বা ভ্রুতে— এই জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত সিবাম ক্ষরণের ফলে একটা প্রদাহ হয় তাকে বলে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস।
খুশকি রোধে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা জরুরি।
চুল উঠে যাওয়ার সঙ্গে খুশকির সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। তবে খুশকি যেহেতু চুলের গোড়ার এক ধরনের সংক্রমণ তাই নির্মূল না করলে তা থেকে চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শুষ্ক স্ক্যাল্প নয়, অতিরিক্ত তেল ক্ষরণ থেকে চুলের গোড়ায় মৃতকোষের আস্তরণ জমে খুশকি বেশি হয়।
মাথায় তেল মাখার সঙ্গে চুলের কোনও সম্পর্ক নেই কারণ প্রত্যেক চুলের গোড়ায় অয়েল গ্ল্যান্ড রয়েছে। মাথা বেশি তেলা হলে খুশকি বাড়বে। তেল শুধু চুলকে কন্ডিশনিং করে।
খুশকির বাড়াবাড়ি হলে ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু ওষুধ, লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

শর্মিষ্ঠা সেনগুপ্ত
সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ
খুশকির জন্য এখন না জেনে-বুঝে অনেকে অনেক প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ফেলছেন যা থেকেও ক্ষতি বেশি হচ্ছে।
খুশকির এখন অনেক ট্রিটমেন্ট রয়েছে। বেশি বেড়ে গেলে অবশ্যই ট্রিটমেন্টে যান। ট্রাইকো ট্রিটমেন্ট এই মুহূর্তে খুব জনপ্রিয় একটা খুশকির ট্রিটমেন্ট।
মেথি ভাল করে গুঁড়ো করে আগের দিন ভিজিয়ে রেখে কাদা-কাদা পেস্ট করে স্ক্যাল্পে বিলি কেটে লাগিয়ে নিন। দশ পনেরো মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে খুশকি নির্মূল হবে।
আপেল সিডার ভিনিগার একটু জলে মিশিয়ে পাতলা করে চুলের গোড়ায় তুলোয় করে চেপে চেপে লাগিয়ে নিন। বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। সরু চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। চুল একটা খোঁপা করে উপর থেকে হেয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রাখুন। এবার ধুয়ে ফেলুন।
মেহেন্দি সরাসরি ব্যবহার করা যায়। অর্ধেক পাতিলেবুর রস দিয়ে দিন। ঘন পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে নিন।
চুল খুব ভাল করে যত্ন নিতে হবে। সবচেয়ে যেটা জরুরি শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে রাস্তায় না বেরনো। যত দেরিই হোক শুকিয়ে গেলে তবেই বেরন। না হলে ক্ষতিই বেশি। যদি সময় না থাকে তাহলে শ্যাম্পু করবেন না।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা খুব জরুরি। বড় চুল হলে চুল ভেজানোর পর, অনেক সময় শুকোতে চায় না তাই ড্রায়ার ব্যবহার করতে হবে। ড্রায়ারে চুলে কোনও সমস্যা হয় না।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার স্ক্যাল্পে লাগালে চুল কিন্তু পরিষ্কার থাকে। শ্যাম্পু না করলে অসুবিধে হয় না। কিন্তু শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার যত করা যাবে খুশকি তত কমবে বা হবে না।
অ্যালোভেরা জেল সরাসরি স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। চুলের গোড়ায় দিলে খুশকি দূর হবে দ্রুত।
এসেনশিয়াল অয়েল একটা ছোট স্প্রে বোতলে জলের সঙ্গে চার-পাঁচ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে স্প্রে করুন মাঝে মাঝে। এতে খুশকি তো কমবেই এবং খুশকিজনিত দুর্গন্ধ দূর হবে।

Latest article