প্রতিবেদন : কোনও বধূ তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির অনুমতি ছাড়াই যদি নিজের পিতৃগৃহে গিয়ে থাকেন তবে তাকে কখনওই অপরাধ, ছলনা বা নিষ্ঠুরতা বলা যায় না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীতা আগরওয়াল ও বিচারপতি কিসান পাহালের বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছে। বরেলির পারিবারিক আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক এক ডিভোর্সের মামলায় মহিলার স্বামীর পক্ষেই রায় দিয়েছিল। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই মহিলার স্বামীর পক্ষেই ডিভোর্সের রায় দিয়েছিল পারিবারিক আদালত।
আরও পড়ুন-শেয়ার বাজারে বড় ধস
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ওই মহিলা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ওই মহিলার বিবাহ হয়েছিল৷ ২০১৭ সালে ওই মহিলার স্বামী একটি ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন। তিনি তাঁর আবেদনে জানান, ২০১৫ সালে তাঁর স্ত্রী কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই নিজের বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। এমনকী, ২০১৭ সালে ওই মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ফিরতেও অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা বাড়ির কোনও কাজকর্মও করতে চাইতেন না। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত দুর্ব্যবহার করতেন। তাঁর স্ত্রী যখন-তখন কারও কোনও অনুমতি ছাড়াই নিজের বাপের বাড়ি চলে যেতেন।
আরও পড়ুন-অনলাইন বেটিং প্রচার নিষিদ্ধ
পারিবারিক আদালত স্বামীর পক্ষে রায় দিলে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ মনে করে, ওই মহিলা তাঁর বাপের বাড়ি গিয়ে কখনওই কোনও অপরাধ করেননি। কারণ ওই সময় তিনি ছিলেন গর্ভবতী এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি দূরত্ব ছিল মাত্র ৪০০ মিটার। শুধু তাই নয়, ওই মহিলার স্বামী তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণের জন্য কোনও আর্থিক সহায়তাও করেননি। এটা থেকে প্রমাণ হয় যে ওই মহিলার স্বামী তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন। তাছাড়া স্বামী তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার যে অভিযোগ করেছেন তার কোনও প্রমাণও তিনি আদালতে পেশ করতে পারেননি।