রাজধানীর পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দিল্লি-এনসিআর-এ ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণের (Delhi Air Pollution) জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন। শুক্রবার দিল্লিতে বায়ুর গুণমান “গুরুতর প্লাস” বিভাগে পৌঁছেছে। যে কোনও রাজ্যে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে গেরুয়া শিবির সেই প্রসঙ্গে আপ মন্ত্রী গোপাল রাই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, দিল্লির এইরকম অবস্থায় কোথায় আছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কি কোনও দায়বদ্ধতা নেই?” গোপাল রাইয়ের মন্তব্য, কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রীর কাছে হাত জোড় করে এখন সক্রিয় হওয়ার জন্য আবেদন করুন। কারণ শুধু দিল্লি নয় পুরো উত্তর ভারত বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে।
রাজধানীর বিষাক্ত বাতাসের কারণে শুক্রবারও দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল “গুরুতর প্লাস ” বিভাগে। ধোঁয়াশার ঘন স্তরে আচ্ছন্ন ছিল রাজধানীর বাতাস। দেখে মনে হবে নভেম্বরের শুরুতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে চারিদিক। যদিও ক্রমাগত বাড়তে থাকা শ্বাসকষ্ট চোখ জ্বালা, গলা জ্বালা এবং অন্যান্য অনেক শারীরিক উপসর্গ মনে করিয়ে দিচ্ছে কতটা বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে দিল্লীবাসী। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই ৩ এবং ৪ নভেম্বর দূষণের (Delhi Air Pollution) কারণে প্রাইমারি স্তরে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (CPCB) অনুসারে, সামগ্রিক বায়ুর গুণমান সূচক ছিলো ৩৪৬। যদিও দিল্লির লোধী রোড, জাহাঙ্গীরপুরি, আর কে পুরম এবং বিমানবন্দর এলাকায় বায়ুর গুণমান গুরুতর প্লাস পর্যায় পৌঁছেছে। সেখানে একিউআই লেভেল যথাক্রমে ৪৩৮, ৪৯১, ৪৮৬ এবং ৪৭৩। দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (এমসিডি) বাতাসের গুণমান উন্নত করতে লোধি রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় জল ছেটানোর ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন- বন্যা দুর্গতদের জন্য বিশেষ দুয়ারে সরকার শিবির, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই অভিযোগ করেছেন যে, দিল্লির দূষণ প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে আসা ধোঁয়ার কারণেই এই অবস্থায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “এই অবস্থার সমাধানের জন্য দিল্লি সরকারের সঙ্গে বিরোধী নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রেরও জরুরি বৈঠক করা উচিত।” এদিকে এদিন সকাল থেকে দিল্লির কনট প্লেসে ২০২১ সালে চালু হওয়া স্মগ টাওয়ারও কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, “দিল্লিতে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৬ নভেম্বর সোমবার বাতাসের মানের ভিত্তিতে।” কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বাতাসের একিউআই লেবেল ক্রমাগত খারাপ হওয়ার পর বায়ুদূষণ আইনের সম্পূর্ণ সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন।