প্রতিবেদন : ইডেনের ২২ গজে হেনরিখ ক্লাসেন তখন স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন। স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটে উঠল গৌতম গম্ভীরের মুখ। নাইটদের মেন্টরের মুখে একই সঙ্গে অবিশ্বাস ও হতাশার মিশেল। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ধীরে ধীরে পিছলে যাওয়ার আতঙ্ক!
হরষিত রানার অনবদ্য শেষ ওভারের পর সেই মুখটাই বদলে গেল ম্যাচ জেতার আনন্দে। ছেলেমানুষের মতোই শ্রেয়স আইয়ারদের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠলেন গম্ভীর। আরেকজন শাহরুখ খান। বলিউডের বাদশা ভিভিআইপি বক্সে বসে উত্তেজনা ও নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করলেন তারিয়ে তারিয়ে।
আরও পড়ুন-চন্দ্রনাথের বাড়িতে ইডি, নেত্রীর ফোন
তবে এঁরা কেউ নন। শনিবার রাতের ইডেনের রাজা একজনই। তিনি আন্দ্রে রাসেল। বিধ্বংসী হাফ সেঞ্চুরির পর বল হাতে ২ উইকেট। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের এই পারফরম্যান্সের পর ম্যাচের সেরা হিসেবে অন্য কাউকে বেছে নেওয়া সম্ভব ছিল না। শেষ দুটো আইপিএলে চূড়ান্ত হতাশ করেছিলেন। যদিও এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই স্বমহিমায় রাসেল। তিনি বলছেন, “গত দুটো বছর আমার খুব ভাল কাটেনি। বোলাররা যেন প্রতি ম্যাচেই আমাকে টার্গেট করছিল। অনেক চেষ্টা করেও রান পাচ্ছিলাম না। ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম, ওরা আমার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে। তাই নিজের খেলায় কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। নিজের শট নির্বাচন নিয়ে প্রচুর খেটেছি। তার ফল পেলাম এই ম্যাচে।”
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
রাসেল আরও বলেন, “আজ আমি ক্রিজে যাওয়ার সময় নিজেকে বলেছিলাম, দলকে সাহায্য করতে হবে। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারে ভাল লাগছে। শেষ ওভারে হরষিতের বোলিংয়ের প্রশংসা করে রাসেল বলেন, “দারুণ বল করেছে। আমি চেয়েছিলাম শেষ ওভারটা করতে। কিন্তু হরষিত আমার হাত থেকে বল প্রায় কেড়ে নিয়েছিল। ওভারের প্রথম বলে ছয় খাওয়ার পরেও মাথা উঁচু রেখেছিল।” এদিকে, কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়সের মুখেও রাসেল ও হরষিতের প্রশংসা। তিনি বলেন, “রাসেল ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্স করল। হরষিতও শেষ ওভারে দারুণ বল করেছে। ওর হাতে বল তুলে দিয়ে বলেছিলাম, ম্যাচ হেরে গেলেও কোনও ক্ষতি নেই। তুই শুধু ঠিক জায়গাতে বল রেখে যা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জয় সব সময়ই ইতিবাচক। তবে কিছু কিছু জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।”