‘গভর্নমেন্ট অ্যাট ইওর ডোরস্টেপ’। কথাটা স্থানভেদে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া বয়ে আনে। বাদামি শার্ট কিংবা কালো শার্ট পরা জমানায় এই কথাগুলো ইতালি কিংবা জার্মানিতে ত্রাসের হিম স্রোত বইয়ে দিত শিরদাঁড়ায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আজকের দিনে এই কথাগুলোই নিশ্চয়তার বাতাস বইয়ে দেয়। দুয়ারে সরকার প্রকল্প, এক কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ভাবনী শক্তির ঝলকানি। দরকারি কাজ সরকারি দপ্তরে গিয়ে করতে হবে। টেবিল থেকে টেবিলে ফাইল চালাচালি হবে। জুতোর সুখতলা ক্ষয়ে যাবে। চোখের চশমার পাওয়ার বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন-স্মৃতি ও ভাবনায় সৌমিত্র
কিন্তু অভীপ্সিত কাজটি আর হয়ে উঠবে না। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এই কর্মসংস্কৃতির প্রবাহ দেখেছে বাংলা। আর সেই ছবিটা বদলে দিয়েছে এবার পরিবর্তনের সরকার। মানুষকে সরকারি দপ্তরে টেনে এনে নয়, সরকারি বিভাগকে মানুষের দরজায় পাঠিয়ে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন যিনি, তাঁরই কলমে এ-বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা বইটিতে। অবঙ্গভাষাভাষী পাঠককুলের কাছে এই অভিনব জনমুখিনতার রূপরেখা তুলে ধরার জন্য, পশ্চিমবঙ্গের পরিসীমার বাইরে বসবাসকারীদের অবগতির জন্য, গ্রন্থটির ভাষা ইংরেজি। সুখপাঠ্য, তথ্যনিষ্ঠ, এবং চক্ষু উন্মীলক। এভাবেও মানুষের সেবা করা যায়, সেকথাটা যে আগে কেউ ভাবার সাহসটুকুও দেখাননি!