সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : পাহাড় এবং ডুয়ার্সের ছেলে মেয়েদের স্বনির্ভর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন বহু আগেই। এলাকার মানুষদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং তাদের বেকারত্ব দূর করতে হোমস্টের নিদান দিয়েছেন। নিদান দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি তাদের সাহায্য করতেও দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যারাই হোমস্টে তৈরি করছেন তাদের এক লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি ঘর পুরোপুরি সাজিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পর্যটকরা বেড়াতে এসে তাদের ওই ঘরে থাকতে পারবেন এবং স্থানীয় কৃষ্টি ও স্থানীয় খাবার খেয়ে সেটা উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন-শতকপ্রাচীন মেলার আকর্ষণ মণ্ডপশিল্প
এতে একদিকে যেমন পর্যটকরা ভিন্ন স্বাদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তেমনই ওই ঘরে থাকার জন্য তারা যে ঘর ভাড়া দেবেন সেই ঘর ভাড়া থেকে আয় হচ্ছে ঘরের মালিক বা হোমস্টের মালিকদের। বর্তমানে পাহাড় বা ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকরা রিসর্ট বা হোটেলের চাইতে হোমস্টেই বেশী পছন্দ করছে। আর হোমস্টের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর মানুষ হোমস্টের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছেন। তার ওপর রাজ্য সরকার প্রত্যেক হোমস্টের জন্য এক লক্ষ টাকা সাথে একটি ঘর সাজিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-জয় হাতছাড়া ফ্রান্সের
ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সাহায্য পেয়ে ওই মানুষ গুলি আকর্ষিত হচ্ছেন। স্বনির্ভর হচ্ছেন এলাকার মানুষেরা। শুধুমাত্র বক্সা, জয়ন্তি এলাকায় প্রায় ১০০টির মতো হোমস্টে আছে। আর এই হোমস্টে গুলিকে কেন্দ্র করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে এলাকার প্রায় ৩০-৩৫ হাজার মানুষের রুজি রুটির সংস্থান হচ্ছে।