প্রতিবেদন : এবার অভিযোগ উঠল কঙ্কালকাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএমের (CPM) সুশান্ত ঘোষের (Susanta Ghosh) বিরুদ্ধে। বিধায়ক এবং মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর (Susanta Ghosh) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং চিরকুটে চাকরি দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। যেহেতু অভিযোগ, তাই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কী সেই অভিযোগ?
১) বড়বোন এবং ভগ্নিপতির চাকরি, বতর্মানে রিটায়ার্ড। ২) ভাগনের চাকরি, আধারনয়ন হাইস্কুলের লাইব্রেরিয়ান। ৩) সিপিআই-এর মন্ত্রীর সৌজন্যে সেচ দফতরে ক্ষীরপাইয়ে চাকরি ছোট ভাগনের। ৪) ছোট বোনের প্রাইমারি স্কুলে চাকরি। ৫) মেজ বোনের স্বামীর গড়বেতার কেশিয়াতে বাড়ি, প্রাইমারি স্কুলে চাকরি। ৬) সেজ বোনের স্বামীর মেদিনীপুর প্রাইমারি বোর্ডে চাকরি। ৭) আর এক বোনের আইসিডিএস-এর সুপারভাইজারের চাকরি এবং সিপিএম মন্ত্রীর সৌজন্য দিয়ে সেচ দফতরে চাকরি তার স্বামীর। ৮) পিসতুতো দুই ভাই ছত্রগঞ্জের তরুন রায় ও তার দাদার চাকরি। ৯) তাড়া গ্রামের সুনীল মালের ভাইয়ের পরিবহন দফতরে ও তার মেয়ের প্রাইমারি স্কুলে চাকরি। ১০) মামাতো ভাই অতনু খামরুই ও তাপস খামরুইয়ের পরিবহন দফতরে চাকরি। ১১) সুশান্ত ঘোষের স্ত্রী প্রাইমারি শিক্ষক ছিলেন। ১২) শ্যালিকার মেদিনীপুর এক্সচেঞ্জ অফিসে পিওনের চাকরি। ১৩) ছোট শ্যালিকার দেওরের হাইস্কুলে চাকরি। আরও এক শ্যালক ও শ্যালিকার চাকরি। বড় শ্যালক অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও পাটির জেলা কমিটির সদস্য। পার্টির হোল টাইমার। চন্দ্রকোনা রোডে বাড়ি। বর্তমানে দিল্লিতে কয়েক কোটি টাকার ফ্ল্যাট। অভিযোগ, সুশান্ত ঘোষ ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ প্রাইমারি চাকরি লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে যেহেতু সবটাই অভিযোগ তাই অবলম্বে তদন্ত চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি, কেন্দ্র ও গুজরাত সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ