প্রতিবেদন : গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে পরিবহণ দফতর ধাপে ধাপে ১৫ বছরের গাড়ি বাতিল করবে। এজন্য জেলায় জেলায় তৈরি হচ্ছে ‘স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড’ (Scrap Yard)। এই ইয়ার্ড তৈরি হবে বেসরকারি উদ্যোগে। যার লাইসেন্স দেবে পরিবহণ দফতর। এই ইয়ার্ডের যোগ্যতামানও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইয়ার্ড নির্মাণের বহু আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আপাতত কেএমডিএ এলাকা অর্থাৎ কলকাতা ও বৃহত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, এই স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডকে (Scrap Yard) ঘিরে নতুন কর্মসংস্থান হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। এছাড়া নতুন গাড়ি বেচা-কেনার ব্যবসাও বাড়বে। রাজ্য সরকারের আয়ও বাড়বে এজন্য। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক গাড়ির তালিকায় থাকছে বাস, লরি, মোটরবাইক, ম্যাটাডর থেকে শুরু করে অটোও। এই তালিকাও ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতর তৈরি করে ফেলেছে। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মধ্যে পরিবেশবান্ধব গাড়ি অর্থাৎ সিএনজি বেশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যা এক কথায় নজির। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেএমডিএ এলাকায় প্রথম পর্যয়ে ১৫ বছর বয়সের সব বাণিজ্যিক গাড়ি স্ক্র্যাপ বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিএস-৪ ও বিএস-৩ গাড়ি বেচাকেনা বন্ধ করে বন্ধ হয়েছে। তবে, অনেকেই ব্যক্তিগত ১৫ বছর বয়সি বা তার বেশি বয়সি গাড়ি ব্যবহার করেন। ব্যক্তিগত ওইসব গাড়ি স্ক্র্যাপ করার ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ইচ্ছা করলে ওই গাড়ির মালিক ওই গাড়ি স্ক্র্যাপ করতে পারেন। রাজ্য সরকার মানবিক। জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত মানুষ একটি গাড়ি কেনেন। কিন্তু তা স্ক্র্যাপ হয়ে গেলে দ্বিতীয় গাড়ি কেনার সামর্থ্য অনেকের থাকবে না। পরিবহণমন্ত্রী জানান, ১৫ বছরের গাড়ি বাতিল করা বা স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত হলে বহু মনীষীর গাড়ি বা ‘ভিন্টেজ কার’-ও বাতিল করতে হবে। তাই এই বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। পাশাপশি কেএমডিএ-র বাইরের এলাকাতেও ১৫ বছরের গাড়ি স্ক্র্যাপ করার বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকার পরিকল্পিতভাবেই গ্রিন ট্রাইব্যুনালের আদেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন- রথযাত্রার মুখে পুরীগামী ২০টি ট্রেন বাতিল