প্রতিবেদন : রাজ্যপালকে (West Bengal Governor) ভুল বোঝানো হচ্ছে। সাংবিধানিক পদকে সম্মান করে রাজ্য সরকার। কিন্তু সকলেরই নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে কাজ করা উচিত। যারা নির্বাচিত তাদের দায় সবচেয়ে বেশি। রাজ্যপালের সাংবিধানিক সঙ্কট সংক্রান্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি এদিন মনে করিয়ে দেন, আচার্য বদলের ফাইলটিও রাজ্যপালের ছাড়া উচিত। সোমবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose) বলেন, রাজ্যে আইনি বা সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে আমি শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের মতো চুপ করে বসে থাকব না। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সপাটে বলেন, চুপ করে বসে থাকবেন না তো কী করবেন, সকলের চাকরি খাবেন? অশান্তি বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে রাজ্যপালের পদক্ষেপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপালকে নিশ্চয়ই ভুল বোঝানো হচ্ছে। সাতদিনের মধ্যে হিসেব দিতে হবে নইলে ব্যবস্থা নেবেন। উপাচার্যরা কি ছেলেমেয়েদের পড়াবেন, কাজ করবেন নাকি ওঁকে গিয়ে হিসাব দেবেন?’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য বিধানসভায় ইতিমধ্যে বিল পাশ হয়েছে। অতীতে জগদীপ ধনকড় এবং আনন্দ বোস সেই বিল নিয়ে চুপ করে বসে রয়েছেন। তাতে সই করছেন না। এদিন তা নিয়ে রাজ্যপালকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আগে ১০-১২টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। তখন এই নিয়ম ছিল যে রারাজ্যপালই (West Bengal Governor) পদাধিকারবলে আচার্য থাকবেন। এখন ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়। এখনও একই নিয়ম চলতে পারে না।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিধানসভায় বিল পাশ করে পাঠিয়েছিলাম। ওঁর উচিত— হয় অনুমোদন দেবেন নয় ফেরত দেবেন। কিন্তু কোনওটাই হয়নি। আমি বলব, আপনার পছন্দ না হলে ফেরত পাঠিয়ে দিন, আমরা নতুন করে আবার বিধানসভায় বিল পাশ করব।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের নব জোয়ার: কান্দিতে রোড শো-এ জনসুনামি, অভিষেককে ঘিরে প্রবল ভিড় উৎসাহীদের