রাজ্যকে প্যাঁচে ফেলতে গিয়ে আবারও মুখ পুড়ল রাজ্যপালের

শিক্ষা দফতরের কাজে হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। যদিও প্রতিবারের মতো শেষ পর্যন্ত অনৈতিক ভাবে প্রভাব খাটাতে গিয়ে জোর হোঁচট খেলেন তিনি।

Must read

আবারও এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে শিক্ষা দফতরের কাজে হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। যদিও প্রতিবারের মতো শেষ পর্যন্ত অনৈতিক ভাবে প্রভাব খাটাতে গিয়ে জোর হোঁচট খেলেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে অধ্যাপিকা সোমা বন্দোপাধ্যায়ের নাম সুপারিশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু পত্রপাঠ রাজ্যপাল তা খারিজ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই তপন মণ্ডলের নাম পাঠান শিক্ষা দফতরে। কিন্তু অধ্যাপক তপন মণ্ডল নিজেই চিঠি দিয়ে শিক্ষা দফতরকে জানিয়ে দেন তিনি এই দায়িত্ব নিতে অপারগ। মুখ পোড়ে রাজ্যপালের। এরপর শিক্ষা দফতরের তরফে ফের সোমা বন্দোপাধ্যায়ের নাম উপাচার্য হিসেবে ঘোষণা করে৷

আরও পড়ুন-করোনার জের, চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি

সোমা বন্দোপাধ্যায় এই মূহুর্তে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি। এবার যোগ দেবেন ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে। এই ঘটনার পর শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “মাননীয় মনোনীত আচার্যকে এখনও বলব তৃতীয় বারের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। যুদ্ধংদেহী মনোভাব রেখে নিজের অভিপ্রায় শিক্ষা দফত্রের ওপর চাপাবেন না। সবশেষে ব্রাত্য লিখেছেন, “বিধি অনুযায়ী নিযুক্ত নবনির্বাচিত উপাচার্যদের অভিনন্দন”।

আরও পড়ুন-YouTube থেকে বছরে আয় $৫৪ মিলিয়ন ! জানেন কার ?

তবে রাজ্যপালের এই ধরণের অযাচিত কর্মকাণ্ড নতুন নয়। এর আগে বহুবার বহুক্ষেত্রে তিনি অকারণে রাজ্যসরকারের সঙ্গে সংঘাতে গিয়েছেন। অপ্রয়োজনীয় ভাবে গা জোয়ারি করে নিজের প্রভাব খাটাতে গিয়েছেন। যা নিয়ে তিনি বঙ্গ সমাজে নিন্দিত হয়েছেন। তাতেও নিজেকে শোধরাননি রাজ্যপাল।

 

Latest article