সংবাদদাতা, হাওড়া : ‘‘হাওড়াবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। মন্ত্রী হয়েও আমি হাওড়ায় পুরভোট করাতে পারছি না। রাজ্যপাল হাওড়া পুর বিলে সই না করায় এই সংকট। অনেক চেষ্টা করেও ভোট করানো যাচ্ছে না। তবুও হাওড়ার উন্নয়ন থেমে থাকবে না।’’ সোমবার হাওড়ায় নবরূপে সজ্জিত টাউন হলের উদ্বোধন করতে এসে একথা বললেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, হাওড়ায় পুরভোট করানোর জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু রাজ্যপাল হাওড়া কর্পোরেশনের ছোট্ট একটি সংশোধনী বিলে সই না করে আটকে রাখায় ভোট করাতে পারছি না। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি কেন সই করছেন না জানি না। বালিতে পুর পরিষেবার মান উন্নত করতে আমরা হাওড়া থেকে বালি আলাদা পুরসভা করেছি। এসব রাজ্যপালকে পাঠানো সত্ত্বেও উনি অজ্ঞাত কারণে সই না করে পুরভোট আটকে রেখেছেন। পুরসভা থাকবে কিন্তু কাউন্সিলর থাকবে না এটা সত্যিই লজ্জার। হাওড়ার উন্নয়ন যেমন চলছে তেমনই চলবে। কেউ বাধা দিতে পারবে না।
আরও পড়ুন-বেটি বঁচাও স্রেফ ধাপ্পা : চন্দ্রনাথ
সোমবার নবরূপে সেজে ওঠা হাওড়ার গর্ব এই টাউন হলের উদ্বোধন করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরি, গৌতম চৌধুরি, হাওড়া কর্পোরেশনের প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। ১৩৮ বছর আগে গড়ে উঠেছিল এই টাউন হল। সংস্কারের অভাবে বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিল হাওড়া কর্পোরেশন বিল্ডিং চত্বরের মধ্যেই অবস্থিত হেরিটেজ তকমা পাওয়া এই টাউন হল। অবশেষে হাওড়া কর্পোরেশনের উদ্যোগে হেরিটেজ কাঠামো পুরোপুরি অক্ষুণ্ণ রেখে প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করে এই টাউন হলের সংস্কার করা হয়।