প্রতিবেদন: তিন কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের বিষয়ে অবিলম্বে কৃষকদের দাবি মেনে নিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি ঘনিষ্ঠ রাজ্যপাল স্পষ্ট বলেছেন, কৃষকদের দাবি মেনে তিন কৃষি আইন বাতিল না করা হলে মোদি সরকার আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল বিজেপির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। জম্মু-কাশ্মীর ও গোয়াতেও রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই সত্যপালের এই মন্তব্য বর্তমান প্রেক্ষিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কৃষকদের দাবি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল মালিক বলেন, উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, বিজেপি নেতারা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। তাঁর মন্তব্যে চাপে বিজেপি। ঘটনাচক্রে, সত্যপাল নিজে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা। তিনি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ বলয়ের নেতা। সত্যপালের বিস্ফোরক মন্তব্য, মিরাটের বহু গ্রামে বিজেপি নেতারা এখন আর ঢুকতে পারেন না। এমনকী বাগপত, গোরক্ষপুর, মুজাফফরনগর-সহ বহু গ্রামেই একই ছবি।
আরও পড়ুন # দ্রাবিড়ের উত্তরসূরির খোঁজ, বোর্ডের প্রস্তাব ফেরালেন লক্ষ্মণ
মোদি সরকার যদি কৃষি আইন বাতিলের দাবি না মানে তা হলে তিনি কি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সত্যপাল বলেন, তিনি সর্বদাই কৃষকদের পাশে রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয় যে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তবু প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই পদত্যাগ করবেন।
তিন কৃষি আইন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সূত্রও বাতলেছেন সত্যপাল। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আইনগতভাবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেয় তাহলেই তো সব সমস্যা মিটে যাবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে কৃষকরা অবশ্যই তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু সরকার এই সামান্য কাজটুকু করছে না। সত্যপালের দাবি, তিনি বিষয়টি অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন। সরকারিভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ-বিষয়ে অবশ্য কোনও কথা বলেননি। ভবিষ্যতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই দুইজনকে কৃষি আইন নিয়ে তাঁর মতামত আবারও জানাবেন বলে রাজ্যপাল জানান। রাজনীতির মঞ্চে বিজেপির কাছের লোক সত্যপাল মালিকের এই সমালোচনায় ব্যাপক বিড়ম্বনায় বিজেপি।