প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলাপ আলোচনা ছাড়াই রাজ্যের একের পর এক সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পছন্দের উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর এই তুঘলকি কাজকর্মের তীব্র প্রতিবাদ করেছে শিক্ষা দফতর। এবার আরও একধাপ এগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে নয়া ফরমান জারি করলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার রাজভবনের তরফে জারি করা ফরমানে কৌশলে রাতারাতি উপাচার্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের ডানা ছাঁটা হয়েছে। বদলি ও ডেপুটেশনের মতো কয়েকটি ক্ষেত্রে রাজ্য শিক্ষা দফতরের ক্ষমতাও খর্ব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে ধস, প্রাক্তন জেলা সভাপতি যোগ দিলেন তৃণমূলে
এতে পরিষ্কার নিজের পছন্দের উপাচার্যদের দিয়ে তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সরাসরি রাজভবনের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছেন। রাজভবনের এই ফরমানে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ রাজ্য প্রশাসন। একে পুরোপুরি অনৈতিক, স্বেচ্ছাচারী বলে সমালোচনা করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। এই নতুন ফরমানের বিরুদ্ধেও আইনি পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য। বাংলার গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর রাজভবন যেভাবে অনৈতিক দখলদারি কায়েম করতে চলেছে তা কোনও ভাবেই মানবে না রাজ্য তাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-যাদবপুরে রেজিস্ট্রারের ভিআরএস নাটক
কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামে গিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনা করে স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের দূরত্ব যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যপাল যে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তা এর ফলে আরও একবার প্রমাণিত হল