প্রতিবেদন : পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটিকে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের (PMLA-GST) আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, জিএসটি নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা তথ্য আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ মামলার তদন্তে পেশ করা হবে। ২০০৬ সালের পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে ওই নতুন বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে অর্থমন্ত্রক। আর্থিক তছরুপ আইনের ৬৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে পিএমএলএ আইনের (PMLA-GST) অধীনেই করফাঁকি, দুর্নীতি, আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার তদন্ত হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দুর্নীতি রুখতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির পক্ষে বিশেষ সহায়ক হবে বলে অর্থমন্ত্রকের দাবি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ, রাজ্য পুলিশ, বিদেশমন্ত্রক-সহ মোট ১৫টি সংস্থাকে এই তালিকায় যুক্ত করেছে। এই সংস্থাগুলি এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একে অপরের সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। একইসঙ্গে জিএসটি সংক্রান্ত কোনও মামলার তদন্তও করতে পারবে। ফলে, ইডি এবং এই সমস্ত সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক তথ্য আদান-প্রদানের দরজা খুলে যাবে। অর্থাৎ ইডি বা আর্থিক প্রতারণার তদন্তে নিযুক্ত অন্য কোনও সংস্থা চাইলে যে কোনও ব্যক্তির জিএসটি তথ্য হাতে পাবে। কোনও ব্যক্তি জিএসটি বা করফাঁকির চেষ্টা করলে সরাসরি তদন্ত করতে পারবে ইডি।