প্রতিবেদন : শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প রূপায়ণে এই রাজ্য দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে অর্থাৎ জানুযারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়কালে রাজ্যের শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পে ৮৪৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। যার মধ্যে রাজ্যের পুর এলাকায় ৫০০ কোটির বেশি টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উল্লেখ্য, গোটা দেশে শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ। বাংলার চেয়ে বহুগুণ বড় উত্তরপ্রদেশও এই প্রকল্পে বাংলার মতোই ৫০০ কোটি খরচ করতে পেরেছে। আর এই সাফল্যের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রের ভূমিকা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার ভাগের টাকা আটকে রাখার জন্য। এই নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-যারা মানুষকে ভাতে মেরেছে তাদের একটা ভোটও নয়
ফিরহাদ জানিয়েছেন, গোটাটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্য। ওঁর দেখানো পথে হেঁটে স্বচ্ছতার সঙ্গে সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্পে উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছি। কেন্দ্রীয় সরকার স্রেফ সস্তা রাজনীতির জন্য গ্রামীণ এলাকায় এই প্রকল্পের টাকা প্রায় এক বছর বন্ধ করে রেখেছে। একাধিক কেন্দ্রীয় টিম এসেও দুর্নীতির অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পায়নি। আমার স্থির বিশ্বাস, গ্রামাঞ্চলেও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয়েছে। মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখে যে পাপ মোদি সরকার করছে, তার উপযুক্ত জবাব জনগণ দেবে। পঞ্চায়েত আর লোকসভা দুটি নির্বাচনের যোগ্য জবাব পাবে বিজেপি আর নরেন্দ্র মোদির সরকার।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য খরচ জোগাতে হয় কেন্দ্র, রাজ্য ও উপভোক্তাকে। ৫ লাখের বেশি জনসংখ্যার পুর এলাকায় এই বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তাকে ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় দেড় লক্ষ টাকা। ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বাড়ি প্রতি দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। গত মে মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের পুর এলাকাগুলিতে মোট ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ২১ হাজার বাড়ির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।