নবেন্দু বাড়ৈ, জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিভিন্ন জটে আটকে থাকা সাধারণ মানুষের পাট্রার ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করবে। আর এর সুফল পেতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। হাসি ফুটেছে সুভাষ দাস, সুনীল বাড়ৈ, জবারানী সরকার, বাবলু দাস, রমেন মালাকারদের।
আরও পড়ুন : ওয়েবিনারের অঙ্গ বিজ্ঞানচেতনা ও রবীন্দ্রনাথ
সোমবার জেলা শাসকের দফতরের মাধ্যমে কুকুরজান অঞ্চল অন্তর্গত হরিপাল কলোনির ১৫ জনের হাতে পাট্টা তুলে দেওয়া হয়। বাম আমলে এনিয়ে বিভিন্ন দফতরে দৌড় ঝাঁপ করা হলেও আখেরে লাভ কিছু হয়নি। কিন্তু দিদি আসার পরই আমরা পাট্রা হাতে পেলাম বলে জানালেন সুভাষ দাস। তিনি বলেন, পাট্টা না থাকার কারণে এতদিন পর্যন্ত সরকারি ঘর, লোন কিছুই পেতাম না। ধন্যবাদ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে যার মানবিক উদ্যোগেই আজ পাট্রা হাতে পেলাম বলে জানান তিনি।পাট্রা পেয়ে আপ্লুত হরিপাল কলোনির বয়স্ক বৃদ্ধা জবারানি সরকার। তিনি বলেন আমাদের কলোনির বাসিন্দাদের জমির কোনো প্রমাণপত্র ছিল না।
আরও পড়ুন : সঙ্গীত প্রেমীদের জন্য আসছে ভিন্ন স্বাদের মিউজিক অ্যালবাম
চাষের জমি ছাড়াও এতে রয়েছে বাস্তু ভিটেও। তবে এখন চিন্তা মুক্ত হল। দিদি যা করলেন সত্যি তা ভোলার নয় বলে জানান তিনি। যদিও ওই এলাকার বাসিন্দাদের পাট্টা আগেই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। লকডাউন ও কোভিড পরিস্থিতিতে তা বিলি করা সম্ভব হয়নি। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আরও বেশ কিছু পাট্টা বন্টন করা হবে বলে জেলা শাসক দফতর সূত্রে খবর।