শেষ রবিবারে দুরন্ত প্রচার

এক মুহূর্তও নষ্ট করতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। জনসংযোগের দুরন্ত ঝড় তুলেছেন ঘড়ির কাঁটাকেও হার মানিয়ে।

Must read

সৌম্য সিংহ : হঠাৎ দেখা পথের মাঝে। মুহূর্তের মধ্যে উষ্ণ আবেগে কুশল বিনিময়— কী খবর, বাড়ির সব ভাল তো! কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে শেষ রবিবারের প্রচার পর্বে এমন দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছেন অনেকেই। সত্যি কথা বলতে কী, মহানগরীর গলি থেকে রাজপথে, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা প্রচারের যে ঝড় তুলেছেন, তার অনেকখানি জুড়েই ছিল ব্যক্তিগত স্তরে এমন আন্তরিকতা বিনিময়।

আরও পড়ুন-দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে ৩৫, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সন্দিহান ‘হু’

ভোটারদের মুখোমুখি হয়ে মুখভরা হাসি নিয়ে, প্রার্থী খোঁজখবর নিয়েছেন পরিবারের, পরিচিত জনেদের। বন্ধুসুলভ রসিকতাও করেছেন কোথাও কোথাও। বিনিময়ে ভোটাররা প্রার্থীকে কিংবা পুরসভাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দীর্ঘদিনের নানা নাগরিক সমস্যার সমাধান করে এলাকার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য।

আরও পড়ুন-KMC 50: দলবদলু-সুবিধাবাদীদের ভোট নয়, মৌসুমির প্রচারে স্পষ্টবাদী কুণাল ঘোষ

এদিন প্রচারে নেমে জনমনে ব্যাপক উদ্দীপনা জাগিয়েছেন দলের মহাসচিব শিল্প এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী পার্থ সরকারের হয়ে প্রচার করেন তিনি। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শক্তিপ্রতাপ সিংয়ের সমর্থনে প্রচারে নামেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। উত্তর কলকাতার মুচিবাজারে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী অনিন্দ্যকিশোর রাউতের সমর্থনে রোড-শো করেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী শ্রেয়া পাণ্ডে।

আরও পড়ুন-মোদির বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে বরাদ্দের ৮০ শতাংশই খরচ বিজ্ঞাপনে

৮১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জুঁই বিশ্বাসকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তারাতলায় জিপ র‍্যালি করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দক্ষিণের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর সমর্থনে প্রচারের ঝড় তোলেন সায়নী ঘোষ। ১৯ ডিসেম্বর পুরনির্বাচন। তার আগে এটাই ছিল প্রচারের শেষ রবিবার।

আরও পড়ুন-অন্য রোগেরও চিকিৎসা বাঙ্গুরে

ছুটির দিনে তাই এক মুহূর্তও নষ্ট করতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। জনসংযোগের দুরন্ত ঝড় তুলেছেন ঘড়ির কাঁটাকেও হার মানিয়ে। সকাল, দুপুর, রাত- বিরামহীন জনসম্পর্ক। স্টার ক্যাম্পেনাররা ছুটেছেন মহানগরীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। প্রচার করেছেন কখনও পায়ে হেঁটে। কখনও হুডখোলা জিপে। ডোর-টু-ডোর ক্যাম্পেনের পালা ইতিমধ্যেই শেষ করে ফেলেছেন অনেকেই। এবারে জোর দিচ্ছেন পকেট মিটিংয়ে। ভোটারদের সঙ্গে মত বিনিময় করেই বসে পড়ছেন কর্মীদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে। স্থির করছেন লড়াইয়ের কৌশল।

Latest article