জিএসটি কাউন্সিলের ৪৭ তম বৈঠক শুরু হয়েছে মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ে। দু’দিনব্যাপী বৈঠকে জিএসটির হার পরিবর্তন নিয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশ মেনে নিল জিএসটি কাউন্সিল। এর আগে মন্ত্রিগোষ্ঠী একাধিক সামগ্রির ওপর ধার্য করা করের হার পরিবর্তনের সুপারিশ করে। সেগুলি নিয়ে বুধবার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। যদিও বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি দাবি জানিয়েছে, জিএসটি ক্ষতিপূরণের সময়কাল যেন আরও বাড়ানো হয়। বৈঠকে সে বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ। তারপরেও যাতে রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, সে দাবি তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-জানালেন সুদীপ
ক্যাসিনো, অনলাইন গেম এবং ঘোড়ার দৌড়ের ওপর ২৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া এলইডি লাইট, সরকারের বিভিন্ন কাজের চুক্তি, বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সেলাইয়ের কাজের মতো ক্ষেত্রগুলি নিয়েও আলোচনার কথা। বৈঠকে ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এতদিন তাঁদের তৈরি সামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করতে পারতেন না, এবার থেকে তাঁরাও অনলাইনে রাজ্যের মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন তাঁদের সামগ্রী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে উৎসাহ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের তরফে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে উৎসাহ দিয়ে তাকে এক নম্বরে নিয়ে এসেছেন। শিল্পক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য।