সংবাদদাতা, দিঘা : দিঘাকে পাখির চোখ করে পর্যটনকে আরও ছড়িয়ে দিতে চায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেজন্য সার্কিট ট্যুরিজম চালুর পরিকল্পনা নিয়ে জেলার দ্রষ্টব্যস্থানগুলি ঘুরিয়ে দেখাতে শুরু হয়ে গিয়েছে গাইডদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। এতদিন দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে বেড়াতে এসে পর্যটকরা মূলত সমুদ্র দেখে সময় কাটাতেন। আশপাশের এলাকা ঘুরতেন নিজেদের উদ্যোগেই।
আরোও পড়ুন-এগোল অস্ট্রেলিয়া
এবার থেকে তাঁরা প্রাচীন রাজবাড়ি, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থানগুলি প্রশিক্ষিত গাইডের তত্ত্বাবধানে ঘুরে দেখার পাশাপাশি জানতে পারবেন সেগুলির অজানা ইতিহাস। বছর কয়েক আগে তমলুকের প্রাচীন রাজবাড়ি, ময়নাগড় রাজবাড়ি, পটাশপুর রাজবাড়ি, খেজুরির প্রাচীন ডাকঘর ও টেলিগ্রাফ অফিস, কবরখানা, বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের মন্দির প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম গড়ার পরিকল্পনা নেয় জেলা প্রশাসন। এবার সেটা চালু করতে তৎপর তারা। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘গাইডদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দিঘাতে চিড়িয়াখানা তৈরির পরিকল্পনা আছে। সেই সঙ্গে জেলার বিশিষ্ট ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।
আরোও পড়ুন-শেষ আটে সিন্ধু-প্রণয়, মালয়েশিয়া ওপেন
নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দিঘার কাছে নায়কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকা। মেরিন ড্রাইভের কাজও শেষ পর্যায়ে। সমুদ্রবাঁধের উপর ৩০ কিমি রাস্তার কাজও শেষ পর্যায়ে। সৈকত সরণিকে ৯০ লক্ষ টাকায় আলোর মালায় সাজানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই খুলে যাবে দিঘা-তাজপুর মেরিন ড্রাইভের একটা অংশ। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানস মণ্ডল বলেন, ‘একাধিক পরিকল্পনা রূপায়ণ চলছে। শুধু রাস্তাঘাট নয়, দিঘার সরকারি মৎস্যখামারও নতুন করে সাজছে। ওই খামার পরিযায়ী পাখিদের আশ্রয়স্থল। তাই পাখিদের জন্য মাচা তৈরি হচ্ছে।’ প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘এতে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও বাড়বে।’