প্রতিবেদন : দেশের আর্থিক উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। নতুন বিনিয়োগ আসছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। বিজেপি শাসিত প্রতিটি রাজ্যেই বাড়ছে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানির ঘটনা। সীমান্ত এলাকায় চিন-পাকিস্তান রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে। কিন্তু এসব গুরুতর সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার মতো সময় নেই নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের। তাঁদের একটাই লক্ষ্য, সেটা হল বিভিন্ন রাজ্যে অবিজেপি সরকারকে ফেলে দিয়ে বিজেপি সরকার গড়া। এ জন্য তাঁরা মুঠো মুঠো অর্থ খরচ করছেন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তাঁরা চিনি, মুড়ি, দুধ, দইয়ের মত সাধারণ পণ্যে বিপুল পরিমাণ জিএসটি চাপিয়ে আদায় করছেন মানুষের কাছ থেকে। টাকা দিয়ে বিরোধী দলের বিধায়ক কেনার চেষ্টার সর্বশেষ ঘটনাটি জানা গিয়েছে গুজরাত থেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে গুজরাত বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা সুখরাম রথভাকে (Congress Leader Sukhram Rathva) বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁকে ৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল, তিনি যদি কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দলে যোগ দেন তাহলে তাঁকে ৫০ কোটি টাকা এবং মন্ত্রিসভায় সদস্য করা হবে। শুধু তাই নয়, বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে যে পরিমাণ খরচ হবে তার সবটাই বহন করবে শাসক দল। কংগ্রেস নেতা অবশ্য সরাসরি ওই ভিডিওতে বিজেপির নাম করেননি। তবে গুজরাতে বিজেপিই ক্ষমতায় রয়েছে। তাই বিরোধী দলনেতা (Congress Leader Sukhram Rathva) বিজেপির নাম না করলেও ওই প্রস্তাব যে বিজেপির কাছ থেকেই এসেছিল তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। কংগ্রেস নেতার দাবি, এই ভিডিওটি অবশ্য পাঁচ বছরের পুরনো। যথারীতি বিজেপি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের নেতারা পাল্টা বলেছেন, কংগ্রেস নেতারা এ ধরনের অসত্য কথা বলতে অভ্যস্ত।
আরও পড়ুন: বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনের নমুনা