বিলকিস মামলার আরেক অপরাধীকে দশদিনের প্যারোল দিল গুজরাত হাইকোর্ট

Must read

প্রতিবেদন : নানা অজুহাতে বিলকিস বানো মামলার অপরাধীদের প্যারোল মঞ্জুর হচ্ছে গুজরাতে (Gujarat High Court)। বিজেপি সরকার আপত্তি না করায় প্যারোল মঞ্জুর করতে বাধ্য হচ্ছে আদালতও।
সুপ্রিম কোর্টের ধমক খেয়ে বিলকিসের গণধর্ষণ ও একাধিক হত্যায় দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের ফের জেলে পাঠানো হলেও গুজরাতে বারবার একাধিক অপরাধীকে প্যারোল দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। পারিবারিক উৎসবের কারণ দেখিয়ে অনায়াসে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন বিলকিস কাণ্ডের ভয়ঙ্কর অপরাধীরা। এবার যেমন ভাগ্নের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্যারোলে মুক্তি পেলেন বিলকিস বানো মামলার অন্যতম অপরাধী রমেশ চন্দনা। আগামী ৫ মার্চ থেকে তাঁর ১০ দিনের প্যারোল মঞ্জুর করেছে গুজরাত হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। যদিও আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য একটানা এতদিন প্যারোল পাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। গত সপ্তাহেই প্যারোলের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রমেশ। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর গত ২১ জানুয়ারি পঞ্চমহল জেলায় গোধরা সাব-জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন গুজরাত হিংসায় খুন এবং গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। আর গুজরাত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পরই ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তবে রমেশই প্রথম নন, এর আগে বিলকিস মামলার অন্য এক অপরাধী প্রদীপ মোধিয়ার প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করেছিল গুজরাত হাইকোর্ট। তখনও গুজরাতের বিজেপি সরকারের সম্মতি ছিল। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রদীপ। এদিকে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে গুজরাত সরকারের তরফে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০০৮ সালে কারাবাস শুরুর পর থেকে ১,১৯৮ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিলেন রমেশ। এছাড়াও ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে খুন এবং গণধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে জেলে ‘ভাল আচরণ’ করার যুক্তি দেখিয়ে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীরা। এরপরই ডবল ইঞ্জিনের গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। বিধানসভা ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত গুরুতর অপরাধীদের রীতিমতো জামাই আদরে বরণ করে নেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। তবে গত জানুয়ারি মাসেই সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানায়, গুজরাত সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এক্তিয়ার-বহির্ভূত। কার্যত আদালতে মিথ্যা তথ্য পেশ করে বেআইনি কাজ করেছে প্রশাসন। ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দু’সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করে জেলে ফিরতে হবে।

আরও পড়ুন-দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাত, গোয়ায় আপ- কংগ্রেস জোট চূড়ান্ত

Latest article