চুক্তিবিতর্কে চূড়ান্ত ডামাডোল ইস্টবেঙ্গলে। ক্লাবের ফুটবল ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়। আসন্ন আইএসএলে লাল-হলুদের খেলা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা। প্রাক্তনদের একজোট করে যখন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চাইছেন ক্লাব কর্তারা, তখন ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে সফল এক বিদেশি কোচ তাঁর পুরনো ক্লাবের সঙ্কটের সময় প্রতিক্রিয়া দিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় বসে ইমেলে ‘জাগো বাংলা’র প্রশ্নের উত্তর দিলেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যান।
➡️ ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান সঙ্কট নিয়ে কী বলবেন?
ট্রেভর: আমি এখানে বসেই সব জানতে পারছি কলকাতায় কী চলছে। আমি তো আইনজ্ঞ নই। তাই বলতে পারব না কেন ক্লাব কর্তারা ইনভেস্টরের চুক্তিপত্রে সই করছে না। চুক্তিপত্রে কী শর্ত আছে বা তাতে কেন আপত্তি ক্লাবের। আমার পুরনো ক্লাবে খারাপ সময় আগেও এসেছে। আমার বিশ্বাস এই সঙ্কট ঠিক কাটিয়ে উঠবে ক্লাব।
আরও পড়ুন-পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ: পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর কাছে লিখিত জবাব চাইলেন অভিষেক
➡️ লগ্মিকারীর সঙ্গে আগেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এবারও হল। কেন শুধু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেই বিনিয়োগকারী সংস্থার সমস্যা হয়?
ট্রেভর: এটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে বর্তমান ক্লাব কর্তাদের এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সময়ের সঙ্গে তাঁদের নিজেদের বদলে ফেলা উচিত। আমার নিজের ধারণা যাই ঘটে থাকুক, যত সমস্যাই থাকুক, ইস্টবেঙ্গলকে দেশের সেরা লিগ আইএসএলে খেলতে হবে। খেলোয়াড়, সমর্থকদের জন্য এই ক্লাবের সে দেশের সর্বোচ্চ স্তরে খেলা উচিত। তার জন্য ক্লাব প্রশাসনে পেশাদারিত্ব আনতে হবে। সঠিক লোককে সঠিক পদে নিয়ে আসতে হবে। তবেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব শুধু ভারতে নয়, এশিয়াতেও পাওয়ারহাউস হয়ে উঠবে।
➡️ সঙ্কটমোচনে ক্লাব কর্তা ও লগ্নিকারী সংস্থার জন্য আপনার বার্তা কী হবে?
ট্রেভর: আমি চাই একশো বছরের ঐতিহ্যশালী ক্লাব স্বমহিমায় ফুটবল খেলুক। ক্ষমতা, ইগোকে বিসর্জন দিন কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব একটা প্রতিষ্ঠান। এর ঊর্ধ্বে কেউ নন। ক্ষমতা, ইগোর আগে আসে ক্লাব, দল। ক্লাব প্রশাসন যেন ভালভাবে চলে, ফুটবলাররা যেন মাঠে খেলতে পারে, সেটা সবার আগে নিশ্চিত করা উচিত। তবে এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। যেটা আমি আগেই বললাম, চুক্তিপত্রে কী আছে সেটা আমার অজানা। আমি জানতেও চাই না। তবে সবার আগে ক্লাব বা দল আগে।
আরও পড়ুন-হ্যাকিংকাণ্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাংলায় গঠন হল তদন্ত কমিশন
➡️ ফুটবল খেলার দাবি জানাতে গিয়ে তো সমর্থকরা পুলিশের হাতে প্রহৃত হলেন। হতাশায় মূহ্যমান অগণিত সমর্থকদের কী বলবেন?
ট্রেভর : ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকরা এখনও আমার হৃদয়ে আছে। ওদের বলব ধৈর্য ধরুন, ঠিক সমস্যা মিটবে। প্রতিবাদ, আন্দোলন না করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন।