প্রতিবেদন : শহর থেকে জেলা। মিনি কালবৈশাখীর দাপট। লন্ডভন্ড কলকাতার বেশ কিছু এলাকা। কোথাও পড়ল গাছ, কোথাও আবার ভাঙল পাঁচিল। বাঁকুড়ার ইন্দাসে তৃণমূলের সভা চলাকালীন বাজ পড়ে। মৃত্যু হয় একজনের। ২০ জনের বেশি জখম হয়েছেন। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে রবিবার ছুটির দিন রাজ্যজুড়ে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও হয়েছে ক্ষতিও। কলকাতার জিডি বিড়লা স্কুলে গাছ পড়ে ভেঙে যায় পাঁচিল। ছুটির দিন হওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় পড়ুয়ারা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরসভার কর্মীরা। তড়িঘড়ি গাছ কেটে সরানো হয়। পড়ুয়াদের খেলার জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, বাঁকুড়ায় হয়েছে শিলাবৃষ্টিও (Hailstorm)। সঙ্গে বজ্রপাত। দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরের কয়েকটি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝড়ের দাপটও। ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রাম। শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। প্রচুর গাছ পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি বাড়িও। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রশাসনের আধিকারিকরা। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শিলিগুড়িতে আকাশ ছিল পরিষ্কার। আজ সোমবার এবং মঙ্গলবারও বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে ঝড়ের দাপট থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা।
কেন শিলাবৃষ্টি (Hailstorm)?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, এই সময় শিলাবৃষ্টি খুবই স্বাভাবিক। প্রতিবছরই হয়। এটি আবহাওয়ার জন্য ক্ষতিকারক বার্তা নয়, তবে ফসলের জন্য অবশ্যই ক্ষতি। শিলাবৃষ্টির ভৌগোলিক ব্যাখ্যা হিসাবে তিনি বলেন, বজ্রগর্ভ মেঘ ঊর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহের ফলে যখন বায়ুমণ্ডলের অত্যন্ত শীতলতর স্থানে প্রবেশ করে তখন জলকণাগুলি দ্রুত বরফে পরিণত হয়। একপর্যায়ে এই বরফের টুকরোগুলিই বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে পড়ে।
আরও পড়ুন- ইস্টবেঙ্গল রোড শিলিগুড়িতে