কাবুল : প্রায় এক সপ্তাহ হল আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, তালিবানদের আফগান দখলের ফলে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে। ৬ দিনের মধ্যেই হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল। তালিবানরা শনিবার কাবুল শহরে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে।
আরও পড়ুন- ৭ বিধানসভা করোনা শূন্য, উপনির্বাচনের জন্য কমিশনকে রিপোর্ট তৃণমূল কংগ্রেসের
এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এই সংগঠনটি চরমপন্থী এবং সম্পূর্ণ শরিয়ত বিধি মেনে চলতে অভ্যস্ত। ক্ষমতা দখলের পর তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, সে দেশের নারীরা সুরক্ষিত ও নিরাপদে থাকবে। তাদের সব ধরনের স্বাধীনতা বজায় থাকবে। কিন্তু হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর নারীদের স্বাধীনতা কতটুকু অক্ষুন্ন থাকবে তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিল। হাক্কানিরা বরাবরই চায়, মেয়েরা সব ধরনের শরিয়ত আইন মেনে চলুক। অর্থাৎ মেয়েরা কোনওভাবেই ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না। সেই নিয়ম উপেক্ষা করলে যে জীবনের ঝুঁকি আছে, সেটাও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- পার্টির বিরুদ্ধে কিছু না বলেও ছমাসের জন্য সাসপেন্ড অজন্তা
এরই মধ্যে তালিবানদের পাশে দাঁড়ালেন আফগানিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ভাই হশমত ঘানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, হশমত জঙ্গি সংগঠনটিকে সমর্থন করার কথা বলছেন। হশমতের এই মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। হশমত ঘানি যে শুধুমাত্র প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ভাই তা নন, তাঁর অন্য পরিচয়ও রয়েছে। হশমত গ্র্যান্ড কাউন্সিল অফ কুচিসের প্রধান ছিলেন। তালিবান নেতা খলিলুর রহমান এবং ধর্মীয় নেতা মুফতি মহম্মদ জাকিরের সঙ্গে দেখা করে তিনি তালিবানদের সমর্থন করার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন- পিছিয়ে পড়েও এএফসি কাপে মধুর জয় এটিকে মোহনবাগানের
এরপরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি আফগানিস্তানে ফেরার রাস্তা পরিষ্কার করতেই ভাইয়ের মাধ্যমে সমঝোতার ইঙ্গিত দিলেন আশরফ। নাকি নিজেদের প্রয়োজন ও পরিবার প্রাণ বাঁচাতেই তালিবানদের সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হশমত। তালিবান শাসনের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন হশমত। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা এখনও পর্যন্ত কেউ যাচাই করে দেখেনি। তাই ওই ভিডিওটি আসল কি নকল, তা বোঝা যায়নি।