হলদিয়া: মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থার ন্যাপথা ট্যাঙ্কারে আগুন লাগে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে গিয়েই এই আগুন লাগে বলে জানা যাচ্ছে। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় তা অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে ও বিধ্বংসী আকারধারণ করে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের আটটি ইঞ্জিন।
আরও পড়ুন-বিজেপির ভাঁওতা ফের প্রকাশ্যে, ভ্যানচালকের পাশে সেই রাজ্যই
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে শিল্পতালুকে অনেক কর্মীই কাজ করতে গিয়েছিলেন। অন্যান্য দিনের মতোই পুরোদমে কাজ চলছিল। আগুন লাগার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাইকিং করে কর্মীদের নিরাপদ স্থানে বের করে আনা হয়। শিল্পতালুকের অন্দরে অনেক রাসায়নিক ছিল। তাই দমকলকর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে শেষপর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, দু’বছর আগেও হলদিয়ার শিল্পতালুকে আগুন লেগেছিল। সেই আগুনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় জঙ্গি হামলায় শহিদ ২ জওয়ান
এইচপিএলে এখন শাটডাউন চলছে। অর্থাৎ সমস্ত কিছু যন্ত্রাংশের মেরামতির কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মেরামতির কাজ চলাকালীন শর্ট সার্কিট থেকে এই ধরনের অগ্নিসংযোগ ঘটে। শ্রমিকদের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। ভেতরে থাকা নিজস্ব ৪ টি দমকলের ইঞ্জিন এবং অন্যান্য মিলিয়ে মোট ৮ টি দমকলের ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই বিধ্বংসী আগুন নিয়ে ফরেনসিক তদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ইঞ্জিনগুলি। তবে প্রথমে আগুনের উৎসস্থলের কাছাকাছি পৌঁছনো তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন-কৃষিপণ্যের ক্ষতি কমিয়ে কোল্ড চেইন প্রকল্পকে উৎসাহ দিতে কী ব্যবস্থা? প্রশ্ন অভিষেকের
শিল্পতালুকের কর্মীরাও তাঁদের সাহায্য করেন। আগুন লাগার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শিল্প তালুকের কর্মী মহলে। মাইকিং করে কর্মীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়। তবে শিল্পতালুকের ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, সেবিষয়ে দমকলকর্মীরা তৎপরতা শুরু করে দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। চলে আসে পুলিশের বিশাল বাহিনী। আগুনের ফলে কোনও প্রাণহানি যাতে না হয়, সেই দিকে বিশেষ নজর দেন দমকলকর্মীরা। মঙ্গলবারের ঘটনায় শিল্পতালুকের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে পরিবেশ দূষণ নিয়েও আশঙ্কা করছেন।