আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করবেন না, এমনটাই জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (PM Benjamin Netanyahu)। একইসঙ্গে নেতানিয়াহুর বক্তব্য, হামাসের দাবিদাওয়া যুক্তিহীন। এখনও পর্যন্ত গাজায় হামাসের অধীনে রয়েছে কয়েকশো ইজরায়েলি। তাঁরা আদৌ দেশে ফিরতে পারবেন কি না, তা জানাই যাচ্ছে না। এর জেরে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু চাপে রয়েছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পথে নামছেন। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারছে না হামাস-ইজরায়েল।
কাতার ও মিশর গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে, শতাধিক ইজরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তারা হামাসকেও চাপ দিচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নেতানিয়াহু আজ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করবেন না তিনি। কারও মাধ্যমে নয়, সরাসরি তিনি প্যালেস্টাইনিদের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে সমঝোতায় রাজি। গত সপ্তাহেও কায়রোতে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তি নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “বৈঠকে হামাসের যুক্তিহীন দাবিদাওয়া ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।”
আরও পড়ুন- একসঙ্গে এবার মহাকাশের পথে ইসরো ও নাসা
নেতানিয়াহুর (PM Benjamin Netanyahu) কথায়, “একাধিক দাবি হামাসের— যুদ্ধ থামাতে হবে এবং এখন যেমন আছে তাদের তেমনভাবেই থাকতে দিতে হবে। অর্থাৎ তাদের নিশ্চিহ্ন করা থেকে পিছু হটতে হবে। ইজরায়েলের জেলে বন্দি হাজার হাজার প্যালেস্টাইনিকে মুক্ত করতে হবে হবে। এখানেই শেষ নয়, জেরুজালেমে ইহুদিদের পবিত্র স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’ এবং ইসলামিক তীর্থক্ষেত্রটি নিয়েও দাবি জানিয়েছে হামাস।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আরও জানান,”কায়রোর আলোচনায় ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা শুনে গিয়েছেন। পরিস্থিতির একটুও বদল ঘটেনি। এক মিলিমিটার কেন ন্যানোমিটার বদলায়নি।” এদিকে গত সপ্তাহ শনি ও রবিবার হাজার হাজার মানুষ তেল আভিভের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বন্দি মুক্তির দাবিতে। সংগ্রহ করা হয় সই। স্লোগানে ওঠে- “সময় ফুরচ্ছে। কিছু করুন।”