কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চায় হামাস

পণবন্দি ইস্যুতে অনড় ইজরায়েল

Must read

প্রতিবেদন : টানা ৪৫ দিন ধরে লাগাতার হামলায় গাজাকে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইজরায়েল। গোটা বিশ্ব এই যুদ্ধ থামাতে ইজরায়েলের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানালেও এই আবেদনে সাড়া দেননি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁদের বক্তব্য, আক্রমণ আগে শুরু করেছে হামাসই। তাই দায় তাদের। গাজার হাসপাতাল ও অন্যান্য অসামরিক কেন্দ্রে গোপন অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তুলেছে হামাস (Hamas)। তাই হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতে প্রত্যাঘাত চালানো হচ্ছে। এছাড়া হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানা যাবে না।
এদিকে এই পরিস্থিতির মাঝেই বার্তা দিলেন প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের অন্যতম শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়া। মঙ্গলবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, কাতারের মধ্যস্থতায় আমরা ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে হামাসের (Hamas) অন্যতম শীর্ষকর্তা ইসমাইল হানিয়ার সহকারী একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, হামাসের কর্মকর্তারা ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি। এবং সংগঠনটি ইতিমধ্যেই কাতারের কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তাদের জবাব পাঠিয়েছে। তবে সম্ভাব্য এই চুক্তির শর্ত সম্পর্কে আর কোনও তথ্য দেননি তিনি। এদিকে হামাস কর্মকর্তা ইসাত এল রেশিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা টিভিকে বলেন, কতদিন ধরে যুদ্ধবিরতি চালু থাকবে, তা নিয়ে এখন দর-কষাকষি চলছে। এছাড়া, গাজায় ত্রাণ পৌঁছনো এবং হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইজরায়েলে আটক প্যালেস্টাইনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালায় হামাস জঙ্গি সংগঠন। সেই হামলায় প্রাণ হারান ১৪০০-র বেশি ইজরায়েলি। প্রায় ২৪০ জনকে পণবন্দি করে হামাস। সেই হামলার পর হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ইজরায়েল। এরপর থেকে ইজরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় গত দেড় মাসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ হাজার ৩০০ জন। যার মধ্যে ৫ হাজার ৬০০ শিশু ও ৩ হাজার ৫৫০ জন মহিলা।

আরও পড়ুন- বেঙ্গল রেডি ফর বিজনেস: আসুন বিনিয়োগ করুন, BGBS-এর মঞ্চ থেকে আহ্বান সঞ্জীব গোয়েঙ্কার

Latest article