প্রতিবেদন : আদানি (Adani) গোষ্ঠীকে নিয়ে প্রতিবেদন লেখার জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। গুজরাত পুলিশের তলবের উপর শুক্রবার অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ, আদানি গ্রুপ স্টক ম্যানুপুলেশন সংক্রান্ত একটি নিবন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে দুই সাংবাদিককে হেনস্থা করে গুজরাত পুলিশ। তদন্তের নামে অভিযোগ দায়ের করে তাদের ডেকে পাঠানো হয়। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তুললেই এখন হেনস্থা চালায় বিজেপি সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী থেকে সমাজকর্মী এবং সাংবাদিক, কেউই এর ব্যতিক্রম নন। গুজরাতেও সেই কায়দায় দুই সাংবাদিককে ডেকে পাঠিয়ে হেনস্থার চক্রান্ত শুরু করেছিল গুজরাত পুলিশ। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে গুজরাত সরকারের ব্যাখ্য তলব করেছে।
আরও পড়ুন-আমরা নারী আমরা সব পারি
৩১ অগাস্ট আলোচ্য নিবন্ধ লিখেছিলেন সাংবাদিক রবি নায়ার এবং আনন্দ মাংনালে। ওই নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়, সর্বজনীনভাবে তালিকাভুক্ত আদানি গোষ্ঠীর স্টকের বিদেশি মালিকরা ফ্রন্টম্যান হিসেবে কাজ করতেন। যে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই সাংবাদিককে তলব সেই একই ধরনের প্রতিবেদন দুই বিদেশি সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত হয়েছিল। শীর্ষ আদালতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের দাবি, আদানিদের নাম উঠতেই হয়রানির উদ্দেশ্যে হেনস্থা শুরু করেছে গুজরাত পুলিশ। এই পদক্ষেপ বাক্ স্বাধীনতার উপর আঘাত।