মুম্বই, ১৬ নভেম্বর : ফর্ম হারিয়ে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন আগেই। এবার নতুন করে বিতর্কে নাম জড়াল হার্দিক পাণ্ডিয়ার। টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরার পর, মুম্বই বিমানবন্দরে হার্দিকের কাছ থেকে দু’টি বহুমূল্য ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক বিভাগ। যার দাম ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ কোটি! তবে এই খবর প্রকাশের পরেই হার্দিকের দাবি, খবরটি সম্পূর্ণভাবে ভুয়ো। ঘড়ির যাবতীয় কাগজ-পত্র তিনি শুল্ক বিভাগে জমা করেছেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই বিমানবন্দরে কর্মরত শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা হার্দিকের কাছে ঘড়ি কেনার কাগজ দেখতে চাইলে, তিনি তা দেখাতে পারেননি। এর পরেই ওই দু’টি ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আরও পড়ুন : ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট জরুরি: দ্রাবিড়
যদিও হার্দিক নিজে ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আমি নিজেই মুম্বই বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগে গিয়ে দুবাই থেকে কিনে আনা ঘড়ির কর দিতে চাই। আমার কাছে যা কাগজপত্র ছিল, তার সবই জমাও দিয়েছি। এরপর মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি রেখে দেন শুল্ক আধিকারিকরা। যার দাম দেড় কোটি। দুটো ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়।’ প্রসঙ্গত, গতবছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল খেলে দেশে ফেরার পর হার্দিকের দাদা তথা জাতীয় দলের ক্রিকেটার ক্রুনাল পাণ্ডিয়াকেও একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেবার ক্রুনালের ব্যাগ থেকে চার-চারটি দামি ঘড়ি পেয়েছিলেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা। ক্রুনাল উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বলে, সেই ঘড়িগুলো বাজেয়াপ্ত করেছিল শুল্ক দফতর। সেই সময় ক্রুনালের প্রতিক্রিয়া ছিল, তিনি নাকি জানতেন না যে, এই ঘড়িগুলো দেশে আনার জন্য কাগজ দেখাতে হবে।