প্রতিবেদন : রাজ্যের উচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিক অবস্থার বিষয়ে নিজের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খোঁজখবর নিত ধৃত সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি কিংপিন আব্দুল রাকিব কুরেশি। কারও আর্থিক অনটন থাকলে সেই সুযোগ নিয়ে দলে টানতে চেষ্টা করত সে। অবশ্যই টাকার বিনিময়ে, মোটা অঙ্কের লোভ দেখিয়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এই তথ্য হাতে এসেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের। শুধু তাই নয়, ভোপালের আদালতে পেশ করার সময়ে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই আগে একবার তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল এই আব্দুল রাকিব কুরেশি। সেবার ভূপালের এমপি নগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল কুরেশিকে। দীর্ঘকাল কারাবাস হয় তার।
আরও পড়ুন-বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না ?
২০০৯-তেও একজনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল কুরেশির বিরুদ্ধে। কিন্তু দীর্ঘ কারাবাসের পরেও নিজেকে সংশোধিত করেনি সে। নাশকতামূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে সে। জঙ্গি স্লিপার সেল তৈরির কাজেও নেমে পড়ে সে। জানা গিয়েছে গোয়েন্দা তদন্তে। দুদিন আগে কুরেশিকে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ট্রানজিট রিম্যাণ্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার পরে বুধবার তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত। পুলিশ হেফাজতেই তাকে জেরা করে একের পর এক উঠে আসছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্পষ্ট হচ্ছে টেরর ফান্ডিংয়ের নেটওয়ার্কও। দিনকয়েক আগে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা রীতিমতো তাড়া করে ধরে ফেলেছিল হাওড়ার দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি সাদ্দাম এবং সইদকে। তাদের জেরা করেই মেলে নাটের গুরু কুরেশিকে।