রাজ্যপালের হাতেখড়ি আজ দেবাঞ্জলির হাতে

Must read

প্রতিবেদন : বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা শিক্ষা শুরু করতে চলেছেন বঙ্গপ্রেমী রাজ্যপাল। সরস্বতী পুজোর বিকেলে এক অভিনব হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বাংলা শিক্ষা শুরু করবেন। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা-সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধা ও কৃতিত্বের পরিচয় দেওয়া কয়েকজন পড়ুয়াকেও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেবাঞ্জলি রায় নামে আট বছরের এক বালিকার কাছ থেকে রাজ্যপাল হাতে-খড়ি নেবেন বলে খবর। গুরুদক্ষিণা হিসেবে রাজ্যপাল তাঁর বেতনের একাংশ কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার হিসেবে দেবেন। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ওইসব পড়ুয়াদের যথাক্রমে ১ লক্ষ, ৭৫ হাজার, ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। রাজ্যপাল শুধুমাত্র বাংলার নয়, সারা বিশ্বের সেরা এবং উজ্জ্বল বাঙালি পড়ুয়াদের নিয়ে একটি ‘গভর্নর্স গোল্ডেন গ্রুপ’ তৈরি করারও পরিকল্পনা নিয়েছেন।
রাজ্যপাল সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে এক ঘণ্টা করে বাংলা শেখার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠমহলে।

আরও পড়ুন-মোতায়েন আড়াই হাজার পুলিশ, নজরদারি ড্রোনে

রাজ্যপাল হিসাবে রাজভবনে প্রবেশের সময় থেকেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি নিজের শ্রদ্ধা ও আবেগের কথা জানিয়েছিলেন। মালয়ালি রাজ্যপালের নামের শেষে বাংলা বোস পদবিও সেই বঙ্গপ্রেমেরই নিদর্শন। শৈশব থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখার ভক্ত আনন্দ বোস ‘কাবুলিওয়ালা’কে তাঁর পড়া সেরা গল্প হিসেবে বিবেচনা করেন। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, বোস একটি ছোট গল্প ‘চৌরঙ্গিলে পুক্কল’ (চৌরঙ্গির ফুল) লিখেছিলেন। বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ‘চৌরঙ্গিলে পুক্কল’ সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা লিখেছেন। বোসের আত্মজীবনী-সহ তাঁর সমস্ত সাহিত্যকর্মের অনুবাদ করা হচ্ছে তাঁরই তত্ত্বাবধানে। এর মধ্যে কয়েকটি কলকাতা বইমেলার সময় প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Latest article